রোজ একঘেয়ে জীবন কাটাতে কাটাতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরি আমরা। তখন এই অবসাদ কাটানোর জন্য দরকার হয় একমুঠো টাটকা বাতাসের। শহর ছেড়ে একটু দূরে কোথাও ঘুরতে গেলেই মুক্তি মেলে আমাদের। তবে ঘুরতে গেলে যে শুধু মানসিক শান্তি মেলে তাই নয় বরং শারিরীক ভাবেও অনেক সমস্যা দূর হয়।
আগে শরীর খারাপ হলেই চিকিৎসকরা হাওয়া বদলের পরামর্শ দিতেন। কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে এলেই মনের সঙ্গে শরীরও ফুরফুরে হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান কর্মব্যস্ততার যুগে সেই ফুরসৎ আর মেলে না। তাই আজকাল যেন মানসিক চাপ অনেক বেশি। কিন্তু এর মাঝেই নিজের মত করে সময় বের করে ঘুরে আসুন।
ঘুরতে গেলে ফিট থাকবেন। কারণ ঘুরতে যাওয়া মানেই ছুটে বেড়ানো। এতে শরীরের কসরৎ হবে। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় হবে। শরীর সুস্থ থাকবে। যদি পাহাড়ে যান, তাহলে প্রশ্বাসের সঙ্গে বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন। যা আপনাকে আরও সক্রিয় এবং ফিট করে তুলবে।
ভ্রমণের অপর একটি ইতিবাচক দিক হল নতুন কিছু শিখতে পারবেন। ঘুরতে যাওয়া মানেই নতুন কিছু এক্সপ্লোর করা। ফলে নতুন নতুন জ্ঞানের সম্ভার বৃদ্ধি পাবে। যা কর্মক্ষেত্র থেকে ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগতে পারে। যা আপনাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে গেলে সেই জায়গার সংস্কৃতি ও সভ্যতা খুব কাছ থেকে জানতে পারবেন।
সবথেকে বড় পাওনা যেটা তা হল পরিবারের সঙ্গে একত্রে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।কয়েকদিনের জন্য পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গেলে দূরত্ব দূর হয়। যা মানসিক চাপ অনেকাংশে কমাতে পারে। তাই বেড়াতে যাওয়ার জন্য পরিবার বা বন্ধু সঙ্গে না পেলেও একাকী বেরিয়ে পড়ুন এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করুন।