মানসিক প্রতিবন্ধী দাদাকে নিয়ে ঘৃণ্য মন্তব্য! নেটিজেনদের কুৎসিত কথার কড়া জবাব দিলেন অপরাজিতা

Published on:

মানসিক প্রতিবন্ধী দাদাকে নিয়ে ঘৃণ্য মন্তব্য! নেটিজেনদের কুৎসিত কথার কড়া জবাব দিলেন অপরাজিতা

সম্প্রতি পঞ্চাশোর্ধ দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে নিয়েছেন সেই ছবি। এদিকে এই ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ করেছেন তার দাদার বয়স নিয়ে। কেন এত বেশি বয়সে বিয়ে হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সঙ্গে বাঁকা মন্তব্য করেছেন। এবার এই সবকিছুর সপাটে জবাব দিলেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে দাদার বিয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন বোন অপরাজিতা। এরপর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রয়াত মায়ের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, “আজ বোধহয় তুমি সব থেকে বেশি শান্তি পেয়েছ যে, তোমার ছেলে বিবাহিত এবং তোমার পছন্দ করা পাত্রী তোমার পুত্রবধূ। আর আমার শান্তি, আমি আমার সবটুকু দায়িত্ব যা যা তোমাকে বলেছিলাম, সবটা পালন করতে পারলাম”।

   
 ⁠

কিন্তু এই পোস্ট দেখেই প্রশংসার পাশাপাশি বেশ কিছু কুৎসিত মন্তব্য এসেছিল। একাংশ আবার প্রশ্ন তুলেছিলেন এত বেশি বয়সে এসে কেন বিয়ে হল। এসব কিছুর জবাব দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তার দাদার কিছু মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই সমস্ত কিছুকে মেনে নিয়ে এবং পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তার দাদার বিয়ে দেরি করে হয়েছে।

  
 ⁠

এরপরই তিনি কুৎসিত মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে জানান, “এলাকায় অনেক মানুষ ওকে হাসির পাত্র বানানোর চেষ্টা করে। বলে- ‘ওর কিছু হবে না’। আমি এই ধরণের মানুষকে ঘৃণা করি। এটা আমার দাদার সঙ্গে হামেশাই ঘটে, ওর বিয়ের পরও ঘটেছে। এটা অত্যন্ত কদর্য মনের পরিচয় দেয়। কারোর ভালোতে যদি আপনি খুশি না হন, তাহলে আপনি ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দেন”।

অভিনেত্রী আরো জানান তার দাদার স্ত্রীকে আগে থেকেই তার দিদিমা পছন্দ করে গিয়েছিলেন। এই রানী দিদি ওরফে অপরাজিতার দাদার স্ত্রী আগে তার দিদিমার দেখাশোনা করতেন। এরপর দুই পরিবারেরই কিছু সমস্যা থাকার কারণে তাদের বিয়েটা দেওয়া হয়ে ওঠেনি।

অপরাজিতা বলেন, ” মা মারা যাওয়ার পরপর দাদাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। তখনও রানি দিদির সেবাশুশ্রুষাতেই দাদা সুস্থ হয়। আমার দাদা, মায়ের জন্য রানিদিদি জীবনপাত করে দিয়েছেন। তাই দাদা সুস্থ হয়ে ওঠার পর যখন বন্ধু অর্পিতা দাদার সঙ্গে রানি দিদির বিয়ের প্রস্তাব দেন তখন স্বস্তি পাই”।