নিত্যসঙ্গী অভাবকে নিয়েই অসাধ্য সাধন! বাংলার মেয়েকে কুর্নিশ সকলের

Avatar

Published on:

নিত্যসঙ্গী অভাবকে নিয়েই অসাধ্য সাধন! বাংলার মেয়েকে কুর্নিশ সকলের

ইচ্ছে আর অধ্যবসায় থাকলে যে কোনো দুঃসাধ্যও সাধন করা যায় নিমেষেই। এবার সেই প্রমাণই দিলেন দস্যি কন্যা লক্ষ্মী। তার প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। এই মহিলা পর্বতারোহী নজির স্থাপন করেছেন। তবে অবাক করার মত বিষয়, নানান প্রতিকূলতা জয় করে তিনি আজ এই জায়গায়।

পরিবারে চার ভাই বোনের মধ্যে লক্ষ্মী সবার ছোট। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তাদের জীবন যুদ্ধের লড়াই। মা লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করেই সংসার চালায়। এরপর বড় ভাই শ্যাম একটি বইয়ের দোকান খোলেন। এর মধ্যেই লক্ষ্মী তার পড়াশোনা চালিয়ে যায়।

   
 ⁠

এরমধ্যে থেকেই পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণ নিতে থাকে লক্ষ্মী। তাঁর অদম্য ইচ্ছা, সাহস, জেদের কাছে হার মানে দারিদ্র্যতা। এরপরেই মাত্র দুই ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের ৪হাজার মিটার চন্দ্রশিলা মন্দিরে সফলভাবে আরোহণ করে তেরঙ্গা উত্তোলন করেন তিনি।

  
 ⁠

সেই সাফল্য লাভ করে এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারোতেও চড়েছেন এই দস্যি মেয়ে। সেখানেও উড়িয়েছেন দেশের গর্বের তিরঙ্গাকে। তাঁর কাণ্ডে গর্বিত গোটা দেশবাসী। নিজের এই সফলতার কৃতিত্ব তিনি তাঁর মা কেই দিয়েছেন।

লক্ষ্মীর লক্ষ্য এখন আগামী বছর মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের। যার জন্য তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে লক্ষ্মী বলেন, “মায়ের সহযোগিতা না পেলে এই যুদ্ধজয় কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। ব্ল্যাক মাউন্টেনে আরোহণের পরিকল্পনা করছি, যার উচ্চতা ৬.৫ হাজার মিটার”।