নিজের দক্ষতায় ফুটপাথ থেকে আজ রাজপ্রাসাদে উঠে এসেছেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় নিয়ে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। এই রকম একজন উচ্চ মানের অভিনেতার আত্মজীবনী তৈরি হবে বা বায়োপিক নিয়ে ছবি হবে তা আশা করাই যায়। কিন্তু এতে একদমই রাজি নন অভিনেতা নিজেই।
স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাশ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর তিনি পড়াশোনা করতে চলে যান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ করেই সংসারের হাল ধরতে, আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয় মিঠুনকে। সেসময়ে তাঁরও জীবনের ঝুঁকি ছিল। ধীরে ধীরে মিঠুনের জীবন মোড় নেয় অন্যদিকে।
সম্প্রতি এক শো তে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, তিনি চান না তাঁর বায়োপিক হোক। যার কারণ হিসেবে অভিনেতা জানান, তাঁর জীবনের লড়াই দেখার পর অনেকে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। অনেকে নিজের লক্ষ্য ছোঁয়ার ক্ষেত্রে পিছপা হতে পারেন। এতটাই কষ্টকর সংঘর্ষময় তাঁর জীবন।
মিঠুন আরও বলেন, একটা সময় তিনি ফুটপাতে শুয়ে থেকেছেন। একবেলা খেয়েছেন। খালি পেটে দিনের পর দিন রাস্তায় জীবন কাটিয়েছেন। এমনকি গায়ের রংয়ের জন্যও তাঁকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাই তিনি চান না এত কষ্টকর একটা জীবন পর্দায় তুলে ধরতে। যা অনেককে হতাশ করে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। জিতে নেন সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার। এরপর মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে কার্যত হারিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপরে, তাঁকে খ্যাতির আলোয় নিয়ে এল ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিটি। শুধু অভিনয় নয়, মিঠুন পরিচিত হলেন এক দুর্দান্ত নৃত্যশিল্পী হিসেবেও।
ব্যক্তিগত জীবনে, অভিনেত্রী যোগীতা বালির সঙ্গে বিয়ে হয় মিঠুনের। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। শোনা যায়, একসময় শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মিঠুনের। সেই সম্পর্ক এগিয়েছিল এতটাই যে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে একথাও ভাসে যে গোপনে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শ্রীদেবী যখন বুঝতে পারেন মিঠুন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান না, সম্পর্ক থেকে সরে আসেন শ্রীদেবী।