সুস্থ থাকতে টক দই অব্যর্থ। পুষ্টিবিদরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেন। টক দইতে রয়েছে
নানান পুষ্টিগুণ। তবে সঠিক সময় টক দই খেলে তবেই তা শরীরে কাজে দেবে। অন্যথায় বেশ কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই ঠিক কোন সময় টক দই খেলে উপকার পাবেন জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টক দই অব্যর্থ ওষুধের মত কাজ করে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনের যে কোনও সময়ে আপনি টক দই খেতে পারেন। এতে পেটের গণ্ডগোলও সহজেই এড়ানো যায়। এছাড়া সকালের জলখাবারেও টক দই রাখা যেতে পারে। এর ফলে সারাদিন কাজের জন্য এনার্জি পাওয়া যায়।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারাবছরই টক দই খাওয়া যায়। দুপুরে খাবার পাতে অনেকেই টক দই খান। এই সময় টক দই খাওয়ার সব থেকে বেশি উপকারী। রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দেহে শক্তি জোগায় টক দই।
তবে রাতের বেলা খাবারের তালিকায় টকদই না রাখাই ভালো। রাতে টক দই খেলে মিউকাস তৈরি হতে পারে। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাঁচ আছে তারা রাতে টক দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তবে, বিকাল বা সন্ধের জলখাবারে টক দই রাখতে পারেন।
ফিট থাকার জন্য টক দইয়ের বিকল্প নেই। টক দইয়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লাভিন, প্রোবায়োটিকের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো দেহে একাধিক কাজ সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে পাতে টক দই রাখতে শুরু করুন আজ থেকেই।