গরম কেন শীতেও অপরিহার্য ফ্রিজ। বর্তমান জীবন যাত্রায় ফ্রিজ ছাড়া যেন কোনও সংসার অসম্পূর্ণ। গরমে ঠান্ডা জল হোক কিংবা সারা বছর সবজি মাছ মাংস ডিম রাখার জন্য ফ্রিজের প্রয়োজনীয়তা আর আলাদা করে বোঝাতে হয় না। কিন্তু এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ফ্রিজে রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আমরা অনেকেই সময়ের অভাবে একসঙ্গে বাজার করে সেই জিনিস সংরক্ষণ করি। এবং সেগুলিকে অনেক সময় ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখি। তবে সব জিনিস ফ্রিজে ঢুকানো যায় না সে ক্ষেত্রে ওই বস্তুর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই বিশেষ জিনিস গুলিকে কখনোই ফ্রিজে ঢোকাবেন না।
প্রাতরাশে পাউরুটির মতো বন্ধু আর হয় না। তাই অধিকাংশ বাড়িতেই আগের দিন রাতে পাউরুটি কিনে এনে রাখা হয়। কিন্তু ভুল করেও কখনো পাউরুটি ফ্রিজে ঢুকাবেন না। পাউরুটি ফ্রিজে রাখলে তা অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়। এই একই ঘটনা ঘটে কেকের ক্ষেত্রে।
মশলাপাতি কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। বিশেষ করে ভেষজ উপাদান তুলসি, রোজমেরি, পুদিনা পাতা প্যাকেটে মুড়ে ফ্রিজে রাখবেন না। এতে এসব ভেষজ উপাদান দ্রুত পচে যাবে। এই উপাদান গুলিকে যেমন ফ্রিজে রাখা যাবে না তেমনি রোদের থেকেও দূরে রাখতে হবে।
আমরা অনেকেই মধুকে ফ্রিজে রাখি। মধু বছরের পর বছর সংরক্ষণ করা যায়। তাই মধু ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। বরং গরমকালে জলের পাত্রে মধু বসিয়ে রাখা যেতে পারে।
এছাড়াও আলু এবং রসুনকে কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। এতে এই দুই সবজির স্বাদ ও গন্ধ চলে যেতে পারে। আলু স্টার্চজাতীয় কার্বোহাইড্রেট। এটি ফ্রিজে রাখলে এতে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, আলুর স্বাদ আরও মিষ্টি হয়ে যেতে পারে।