দিদির বাতিল করা গান গাইতেন আশা, ডাক পড়ত লো বাজেটের ছবিতে! জন্মদিনে রইল কিংবদন্তি শিল্পীর অজানা কাহিনী

Published on:

দিদির বাতিল করা গান গাইতেন আশা, ডাক পড়ত লো বাজেটের ছবিতে! জন্মদিনে রইল কিংবদন্তি শিল্পীর অজানা কাহিনী

আশা ভোঁসলে সঙ্গীত জগতের এক অনন্য সম্পদ। তার অবদান অনস্বীকার্য। স্বয়ং ভগবান বিরাজ করেন তাঁর গলায়। আজ তাঁর ৯১ তম জন্মদিন। এই বয়সে এসেও একইসঙ্গে একটানা ১৮ টি গান গাওয়ার ক্ষমতা রাখেন এই শিল্পী। নিজেই একবার জানিয়েছিলেন সেই কথা।

প্রথম দিকে খানিকটা টাকার জন্যই তাঁর গানের দুনিয়াতে আসা। মাত্র ১০ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন গান গাওয়া। এরপর ভগবানের আশীর্বাদ ও নিজের দক্ষতায় খ্যাতির শীর্ষে উঠে এসেছেন শিল্পী। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কারও জন্য নয়, নিজের জন্য গান। কারণ, এটাই তাঁর সুখ।

   
 ⁠

প্রথম সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। তিনি ছিলেন একজন মারাঠি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ। । ‘চলা চলা নভ বালা’ গান গেয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। এরপরেই ব্যক্তিগত জীবনে বড় পদক্ষেপ নেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ির অমতে বিবাহ করেন আশা।

  
 ⁠

গীতা দত্ত, লতা মঙ্গেশকরের মতো তারকারা ঝলমল করছেন। তাঁরা যে যে কাজ বাতিল করে দিতেন, সেই গানগুলি গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত আশার। ছবির বাজেট কম হলে সেখানে কাজ পেতেন আশা। আবার নায়িকা নয়, খলনায়িকার গলাতেই গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত তাঁরা।

১৯৫২ সালে ‘সঙদিল’ ছবিতে গান গেয়ে ফের সবার নজরে আসেন আশা। এরপর তাঁকে ‘পরিণীতা ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ দেন বিমল রায়। একবার আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন, এখনও একটানা ১৮টি গান গাওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

বিগত ৮০ বছর ধরে, তাঁর গলা, তাঁর গাওয়া গানকে যেভাবে দর্শকরা সম্মান জানিয়েছে, ভালোবেসেছে তার জন্য শিল্পী কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ১২ হাজার গানের ভাণ্ডার তাঁর রয়েছে। ‘পিয়া তু আব তো আজা’ এবং ‘ও হাসিনা জুলফো ওয়ালি’-এর মতো ডান্স নম্বর থেকে ‘দিল চিজ কেয়া হ্যায়’-এর মতো হৃদয়গ্রাহী গজল, ‘তোরা মন দর্পণ কেহলয়ে’-এর মতো শাস্ত্রীয় পরিবেশনা, তিনি উপহার দিয়েছেন।