লিভ ইন বিবাহ বিচ্ছেদ কমায়! জিনাতকে সমর্থন করে বিতর্ক বাড়ালেন সোমি

Published on:

লিভ ইন বিবাহ বিচ্ছেদ কমায়! জিনাতকে সমর্থন করে বিতর্ক বাড়ালেন সোমি

৭০-৮০ এর দশকে পর্দা কাঁপানোর জন্য জিনাত আমান নামটাই ছিল যথেষ্ট। হট এবং সাহসের নাম ছিলেন তিনি। তার বোল্ডনেসে মুগ্ধ ছিল গোটা দুনিয়া। বয়সের সাথে সাথে চেহারায় ছাপ পড়লেও একই রকম ভাবে বোল্ডনেস ছড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের আগে লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তার এই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবার তারই মন্তব্যকে সমর্থন জানালেন আর এক বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী সোমি আলি।

জিনাত আমান সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত যে বিয়ের আগে অবশ্যই লিভ-ইন করা উচিত৷ কেউ যদি রিলেশনশিপে থাকেন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে অবশ্যই তার আগে একসঙ্গে থাকা উচিত৷ আমি আমার সন্তানদেরও এই একই কথা বলেছি৷ কারণ কোনও একটা সম্পর্কে বাঁধা পড়ার আগে নিজেরা কতটা কমফোর্ট সেটাও দেখা উচিত”।

   
 ⁠

বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মতে, “সারাদিনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা একসঙ্গে থাকাটা সেরা মনে হতেই পারে? কিন্তু একসঙ্গে বাথরুম শেয়ার করা, মন খারাপ থাকলে ঝড় সামলানো, রাতের খাবার নিয়ে সমস্যা এসব তখনই শুরু হয় যখন দুটো মানুষ একসঙ্গে থাক? তাই পুরো জীবনটা সুখে-শান্তিতে কতটা কাটাতে পারবেন, তা বিয়ের আগে বুঝে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি৷ সমাজ লিভ-ইন নিয়ে আজও কটাক্ষ করলেও আমার মনে হয় সবকিছুর উর্ধ্বে হল জীবন৷”

  
 ⁠

এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সোমি বলেন, “সম্প্রতি অনেকেই তাঁর নিন্দা করেছেন। আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছে। আমি মোটেও লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধী নই”।

জিনাত আমানের বক্তব্যকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করে তাঁর মন্তব্য, “আপনি যখন কারও সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তখন আপনি সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। না মানে না। আপনারা একে-অপরের সম্পর্কে জানতে পারেন। আমাদের সবারই কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। লিভ ইনের ক্ষেত্রে সেটা আগে থেকে বোঝা সম্ভব। এটি বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সাহায্য করে”।