পুজোর আগে ঘর সাজান বাস্তু মেনে! মুহূর্তেই দূর হবে নেগেটিভ এনার্জি

Published on:

পুজোর আগে ঘর সাজান বাস্তু মেনে! মুহূর্তেই দূর হবে নেগেটিভ এনার্জি

অনেকেই বিশ্বাস করেন বাস্তুশাস্ত্র সুখী গৃহ কোণের অন্যতম কারণ। এছাড়াও সঠিক বাস্তুতন্ত্র মেনে চললে ঘরে যেমন ইতিবাচক প্রভাব পড়ে তেমন বিভিন্ন সমস্যা থেকেও সংসারকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। এই বাস্তুশাস্ত্রের মধ্যে যেমন কোন দিকে ঠাকুরের আসন হবে বা কোন দিকে মাথা করে শোবেন সেই বিষয়টি থাকে পাশাপাশি থাকে ঘরের কোন দিকের পর্দার কি রং হবে সেই দিকটিও। এদিকে আর কদিন পরেই পুজো তাই তার আগে বাস্তু মেনে ঘরকে সাজিয়ে তোলার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

পুজো, উৎসব মানেই আলোর খেলা। তবে অনেকেই এখন মাটির প্রদীপের বদলে টুনি লাইট লাগায়। কিন্তু বাস্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রাকৃতিক আলোই গেরস্থালির জন্য ভালো। তাতেই সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। সংসারের শ্রী বৃদ্ধি হয়।

   
 ⁠

আলোর পাশাপাশি ফুলও উৎসবের অঙ্গ। তাই উজ্জ্বল রঙের ফুল দিয়ে বাড়ি সাজালে মন ভালো হয়। ইতিবাচক আমেজ কাজ করে মনে। চাইলে ফুলের রঙ্গোলিও করে দিতে পারেন। অনেকে বাড়ির দুয়ারও সাজান।

  
 ⁠

এই সময় নিজের বাড়িকেও নেগেটিভ এনার্জি থেকে দূরে রাখুন। ঘর মোছার সময় সামান্য সামুদ্রিক নুন বা পিঙ্ক সল্ট জলের সঙ্গে মিশিয়ে নেবেন। এতে বাড়িতে অত্যন্ত সুন্দর ও তরতাজা একটি পরিবেশ তৈরি হয়।

এছাড়াও আমরা অনেকেই ঘরের রং এর সঙ্গে মানানসই করে জানলার বা দরজার পর্দা লাগাই। কিন্তু বস্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ঘরের দিক অনুযায়ী পর্দার রং পছন্দ করলে ভাগ্য ফেরে তাড়াতাড়ি। ঘরের কোন দিকে কোন রঙের পর্দা লাগাবেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আয়-বৃদ্ধি, মঙ্গল।

বাস্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরের দেওয়ালে দু’টি স্তরের পর্দা ব্যবহার করা খুব শুভ। এতে ঘরের মধ্যে একটি পজিটিভ এনার্জি কাজ করে। আমরা অনেকেই রান্না ঘরে পর্দা ব্যবহার করি। সেক্ষেত্রে লাল, কমলা রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ড্রয়িং রুমে বাদামি, ক্রিম, এই ধরনের রং ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন শোবার ঘরে সব সময় হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করা উচিত। এতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরো মধুর হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে হালকা নীল বা সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আপনার ঘর যদি দক্ষিণমুখী ঘরের পর্দার রং হবে লাল। ইচ্ছে করলে হালকা হলুদ রংও বেছে নিতে পারেন।