যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর ঘর ভাঙার খবরে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। নিজের নামের পাশ থেকে যীশুর পদবী মুছেছেন নীলাঞ্জনা। ইনস্টাগ্রাম থেকেও সরিয়েছেন একাধিক ছবি। ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে মায়ের পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছেন সারা সেনগুপ্ত। কিন্তু এই সারা জন্ম নেওয়ার পরেই অবসাদ ঘিরে ধরেছিল নীলাঞ্জনাকে। একা একাই ঘরে বসে কাঁদতেন তিনি।
নীলাঞ্জনা এক সাক্ষাৎকারে জানান, “সারা জন্ম নেওয়ার পরে অবসাদে ভুগতাম। একা একা বসে কাঁদতাম। কারও সঙ্গে কথা বলতাম না। তবে যে সময়ে সারার মুখটা দেখতাম, মনে হত ওর জন্যই আমায় বেঁচে থাকতে হবে। সারাই আমায় মাতৃত্বের স্বাদ দিয়েছে”। এর পেছনে অবশ্য হরমোনের ওঠাপড়া রয়েছে।
তিনি যোগ করেন, “অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে আমি বুঝি, শরীরে বিভিন্ন হরমোনাল বদল হয় প্রসবের আগে ও পরে। প্রসবের আগে শরীরে হরমোনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। প্রসবের পরে সেই মাত্রাটা হঠাৎ করেই কমে যায়”।
তবে যিশুর সঙ্গে যখন মনোমালিন্য চলছে সেই সময় তাঁর দুই মেয়েই এখন। অবলম্বন। তাঁদের আঁকড়ে ধরেই তিনি শক্তি পাচ্ছেন। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেন, “আমি এটা সব মহিলাকেই বলি, আমার মেয়েদেরও বলি। তুমি স্বেচ্ছায় কাজ করা বন্ধ করতেই পারো, কিন্তু সব সময় এমন কিছু করবে, যা শুধু তোমার জন্য হবে”। ইতিমধ্যেই মডেলিং শুরু করেছে সারা।
এতদিন স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবেই প্রযোজনা সংস্থা চালাচ্ছিলেন নীলাঞ্জনা। তাঁদের সিরিয়াল হরগৌরী পাইস হোটেল বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীলাঞ্জনা। যিশুর সঙ্গে ডিভোর্সের খবরের মাঝে, নিজের নতুন প্রযোজনা সংস্থার ঘোষণা করেছেন তিনি।
নিজের নতুন প্রযোজনা খুলেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন, ‘নিনি চিনি’জ মাম্মাস প্রোডাকশন’। তাঁর কথায়, “আমি ভীষণ ভীষণ খুশি। প্রযোজক হিসেবে এটা আমার কামব্যাক। মা চলে যাওয়ার পর থেকে মেয়ে দুজন যেভাবে আগলে রেখেছে, আমার মা-কে আমি ওদের মধ্যে পাই। তাই ওদের আজ সঙ্গে রাখা”।