মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর! গান স্যালুটে হবে কিংবদন্তির শেষ বিদায়

Published on:

মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর! গান স্যালুটে হবে কিংবদন্তির শেষ বিদায়

ভারতীয় ছবি ও থিয়েটার জগতে এক বড় ক্ষতি। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মনোজ মিত্র। নাট্য জগতে তৈরি হয়েছে মহাশূন্যতা। বর্ষিয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গান স্যালুটে তাকে শেষ বিদায় জানানো হবে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানিয়ে লেখেন, “প্রখ্যাত নট, নাট্যকার ও পরিচালক, ‘বঙ্গবিভূষণ মনোজ মিত্র’র প্রয়াণে শোকাহত হলাম। বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই”।

   
 ⁠

গোটা বিষয়টা তদারকি করার জন্য মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে মনোজ মিত্রের মরদেহ। সেখানেই অনুরাগী থেকে শুরু করে সিনেমা-নাট্যকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হবেন।

  
 ⁠

আজ সকাল ৮.৫০ নাগাদ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেপ্টেম্বর মাসেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। রক্তচাপ, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের সমস্যা ছিল তার। এরপর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বয়সজনিত কারণেই একাধিক শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তাঁর কিডনি ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যাও ছিল। বাঞ্ছারামের বাগান’ ছবিতে তাঁর অভিনয় এখনও অনেকের কাছে স্মরণীয়।স্কটিশ চার্চ কলেজের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক হন তিনি। এই কলেজে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন বাদল সরকার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তদের।

থিয়েটারের মতোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন কিংবদন্তি শিল্পী। ১৯৫৭ সালে কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু মনোজ মিত্রর। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের সাতক্ষিরা জেলার ধূলিহর গ্রামে।