শীতকাল মানেই গুড়ের রমরমা। গুড়ের পায়েস কিংবা পিঠের সঙ্গে ঝোলা গুড় সবেতেই মজে থাকে বাঙালি। জানেন কি এই গুড় খেয়ে স্বাস্থ্যের অনেক উপকারিতাও হয়। সেই কারণেই আগেকার দিনে মা দিদা ঠাকুমারা সবসময়ই গুড় মজুত রাখতেন রান্নাঘরে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় গুড়ের পসরা নিয়ে বসে পড়েছেন গুড় বিক্রেতারা। আর সেই গুড় কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন শহরবাসী। কিন্তু কিছু অসাধু বিক্রেতা ক্রেতাদের ঠকিয়ে বিক্রি করছেন নকল গুড়। তবে আসল গুড় কিনে খেতে পারলে শরীরের উপকার হবে।
গুড় খেলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা মিটতে পারে। ফুসফুস কে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে গুড়। কম জমে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় হাঁপানির সমস্যা থেকেও সমাধান মেলে। এছাড়াও গুড় খেলে রক্তাল্পতা দূর হয়, রক্ত পরিষ্কার হয়। গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
ঘুরে প্রচুর পরিমাণে আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। এর ফলে গুরু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শীতকালে অনেকেরই কাশির সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে গুড় খেলে সমাধান মিলতে পারে।
এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বুর সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পেটের সমস্যা মেটে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শীতকালে গুড় খেলে শরীর উষ্ণ থাকে। দূরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভালো রাখে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুড় সাহায্য করে।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত গুড় খাওয়া উচিত নয়। যারা স্থূলতায় ভুগছেন তাদের পরিমাণ মত গুড় খাওয়া উচিত। সারাদিনে খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন চামচের বেশি গুড় খাওয়া উচিত নয়।