বয়স বাড়লেও এখনও চির যৌবন বজায় রয়েছে অনিল কাপুরের। দিনে দিনে যেন বয়স কমছে অভিনেতার। বলে বলে এখনও তরুণ অভিনেতাদের গোল দিতে পারেন তিনি। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। ৬৮ বছরে পা দিলেন তিনি। কিন্তু এই বয়সে এসেও তাঁর এই সৌন্দর্যের, ফিট থাকার রহস্য কী?
বয়স বাড়লেও এখনও চির যৌবন বজায় রয়েছে অনিল কাপুরের। দিনে দিনে যেন বয়স কমছে অভিনেতার। বলে বলে এখনও তরুণ অভিনেতাদের গোল দিতে পারেন তিনি। কিন্তু কিভাবে এই পেশায় এলেন তিনি? প্রকাশ্যে এল সেই পুরোনো দিনের কাহিনী।
১৭ কিংবা ১৮ বছর বয়স তখন অভিনেতার সেই সময় থেকেই কাজের খোঁজ শুরু করেন তিনি। হঠাৎ অনিল কাপুরের বাবার হার্টে একটি সমস্যা দেখা দেয়। সেই সময় থেকেই শুরু হয় লড়াই। একটি ছবির প্রমোশনে এসে নিজের পেশাদারী জীবনের লড়াই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
তিনি একজন প্রশিক্ষিত সেমি-ক্লাসিক্যাল গায়ক। যিনি কিনা বেশ কয়েকটি ছবিতে গানও গেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘ওহ ৭ দিন’, ‘হামারা দিল আপকে পাস হ্যায়’, এবং ‘চামেলি কি শাদি’।তাঁর স্ত্রী সুনিতা কাপুর ছিলেন একজন কস্টিউম ডিজাইনার।
অভিনেতা জানিয়েছিলেন, স্পট বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে সেলেবদের তুলতেন, সেখান থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে দিতেন, তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা, দেখে শুনে রাখা, সবটাই করতে হত তাঁকে।
অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বলিউডে অন্যতম স্টার হয়ে উঠলেন তিনি। নিজের চেষ্টায় সিনেমাও তৈরি করেন। শুরু টা এইভাবেই করেছিলেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
এদিকে, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকাই চিরযৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্র। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর কন্যা সোনম। তাঁর কথায়, কোনওদিন কোনও খামতি রাখেন না তিনি। প্রতিদিন নিয়ম করে, ঘড়ি ঘরে যোগা থেকে আসন করে থাকেন তিনি।
সোনম বলেন, ডায়েটে কোনওদিন কোনও খামতি রাখেন না তিনি। অভিনেতার রোজের রুটিনে চিট ডায়েটের কোনও জায়গা নেই। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে ফিটনেসের রহস্যই হল ভিতর থেকে ভাল থাকা।বাইরের খাবার, তেল এসব থেকে নিজেকে সরিয়ে এনেছেন বহুদিন হল।