ইরফান খান আর আমাদের মধ্যে নেই প্রায় চার বছর হয়ে গেল। গতবছর ২৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল ইরফান খান অভিনীত শেষ সিনেমা ‘দ্য সং অফ স্করপিয়নস’। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিচারণ করে আবেগে ভাসলেন স্ত্রী সুতপা।
নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “দারিদ্র্য কোনও স্ট্রাগল নয়। স্ট্রাগলটা আসলে আমাদের মনে। আমাদের কখনওই স্ট্রাগল করতে হয়নি। একটা বাইক থেকে আমাদের যাত্রা শুরু করেছিল। এরপর আমরা আপগ্রেড করে ল্যান্ড ক্রুজার নিয়েছিলেন। তবে বাইক নিয়ে আমরা প্রচুর আনন্দ করেছি। আসলে আমার অফিস ছিল মুম্বইয়ের লোয়ার পারেলে। ফলে সেখানে যাওয়ার সময় বাইক রাইড ছিল ভারি উপভোগ্য। একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে ভালবাসতাম, বই পড়তাম এবং একসঙ্গে কবিতাও শুনতাম”।
তিনি আরও বলেন, আধ্যাত্মিক ছিলেন ইরফান। কমপ্লিট ওয়ার্কস অফ বিবেকানন্দ-এর ১২টি খণ্ড শেষ করে ফেলেছিলেন তিনি। তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য কী এবং সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে কি না সেই দিকেই গভীর নজর রাখতেন ইরফান।
মাত্র ৫৪ বছর বয়সে বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা ইরফান খান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে কার্যত কালো ছায়া নেমে এসেছিল বলিউড জগতে। সেই অভিনেতারই মৃত্যুর তিন বছরের মাথায় মুক্তি পেয়েছিল তার শেষ অভিনীত ছবি। তার এই ছবি মুক্তি পাওয়ায় অনুরাগীরা মনে করছেন তাকে যথার্থ শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়া হয়েছে।
ইরফান খান জানিয়েছিলেন, “আমি একটি প্রযুক্তিগত কোর্সের ট্রেনিং নিচ্ছিলাম জয়পুরে এবং এই এসি প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই মুম্বই চলে আসি। এরপর বিভিন্ন বাড়িতে এসি মেরামতের কাজ করতাম”। তাঁর সংযোজন, “আমি বুঝতে পারলাম যে, শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য কাজ করতে পারব না। কাজের প্রতি একটা ভালবাসা থাকতে হবে। আমি যা করছি, তাতে যদি আমি মুগ্ধ না হই, তবে সেটা করা সম্ভব নয়”।