ধর্মেন্দ্র সঙ্গে হেমা মালিনীর সম্পর্ক নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে বিস্তর। প্রথম পক্ষের বউ প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দাম্পত্য চলাকালীনই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। জানা যায় প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সময়েই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন হেমা মালিনী। আর তখনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ধর্মেন্দ্র।
হেমা মালিনীর গর্ভে তখন এষা দেওল। এই অবস্থায় হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু তিনি কখনোই চাননি স্ত্রীর ব্যক্তিগত পরিসরে কেউ ঢুকুক। তাই এশা দেওল জন্মানোর সময় একটা গোটা নার্সিংহোম বুক করে ফেলেছিলেন তিনি।প্রায় ১০০টা ঘর ছিল ওই হাসপাতালে।
যেহেতু বিয়ের আগেই হেমা মালিনী যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তাই তা জানতেন না কেউই। যাতে পাঁচকান হয়ে না যায়, সেই জন্যই এ হেন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। বহু বছর পর সেই ঘটনাই ফাঁস করে দেন হামার বন্ধু নীতু কোহলি। তাঁর কথায়, “যখন এষা হবে, তখন কেউ জানত না যে হেমা সন্তানসম্ভবা। ধরম জি গোটা হাসপাতালই বুক করে ফেলেন। প্রায় ১০০টা ঘর ছিল ওই হাসপাতালে। সব ছিল হেমার”।
এদিকে, হেমা মালিনীর গর্ভবতী হওয়ার খবর জানতে পারেন ধর্মেন্দ্রর মা। তিনি তখন বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই লুকিয়ে দেখা করেন হেমা মালিনীর সঙ্গে। দুহাত ভরে হেমা মালিনীকে আশীর্বাদ করেছিলেন সতবন্ত। ধর্মেন্দ্রর মায়ের সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত হয়েছিলেন হেমাও।
এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে হেমা মালিনী জানিয়েছিলেন, “ধর্মেন্দ্রের মা খুব আন্তরিক এবং দয়ালু ছিলেন। আমার মনে আছে কী ভাবে উনি জুহুর একটি ডাবিং স্টুডিয়োতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এষা তখন আমার গর্ভে। বাড়ির কাউকে কিছু জানাননি উনি। আমি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলাম। উনি আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘সব সময় খুশি থেকো।’ ওঁর সঙ্গে দেখা হয়ে আমার মন ভরে গিয়েছিল”।