তারকারা প্রকাশ্যে বেরোলেই ছবি শিকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। এরপর সঙ্গে যদি থাকে তাদের সন্তান তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু এই সন্তানদের
ফটো শিকারিদের মাঝে আগলে রাখেন তারকারা তখন বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়। যদিও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ছোট থেকেই তার মেয়েকে এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলেছেন।
বিমানবন্দরে বা কোন অনুষ্ঠানে তারকারা গেলেই দেখা যায় ছবি শিকারীরা হামলে পড়েন ছবি তোলার জন্য। সেই মুহূর্তকে স্বাভাবিক রাখতে মেয়েকে ছোট থেকেই তালিম দিচ্ছেন ঐশ্বর্য। আরাধ্যা বরং বিরক্ত হলেও পরিস্থিতিকে সামলে নেন বিশ্বসুন্দরী। জারি রাখেন নিজেদের মধ্যে কথোপকথন।
একবার এক ঘটনা ঘটেছিল। দেখা গিয়েছিল আরাধ্যা ঐশ্বর্যকে টপকে সামনে চলে এসেছে। আর তখনই তাকে ফটো শিকারীরা ঘিরে ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে ঐশ্বর্য ফটো শিকারীদের দোষ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আরাধ্যা বলেছিল সে আগে চলে এসেছে।
এরপর এই যে এসেছিল একের পর এক মন্তব্য। সেখানে এক নেটিজেন মন্তব্য করে বলেছিলেন, “প্রথমকেই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়ার কী মানে? আরাধ্যা এখন বড় হয়েছে। অকারণে লাফ দেওয়ার কী দরকার?” অনেকেই আবার মনে করছেন, মেয়েকে একা না ছাড়ার কারণে ‘মানসিক বিকাশ’ হচ্ছে না আরাধ্যা, মায়ের উপর বড় বেশি নির্ভরশীল সে।
এই প্রসঙ্গে ঐশ্বর্য একবার জানান, “কখনও কখনও ছবিশিকারিদের দেখে আরাধ্যা বলে ওঠে, ‘হে ভগবান আবার কেন!’ আমি তখন ওকে বলি, কী আর করা যাবে। ওরা এসে গিয়েছে। আমরা তো আমাদের মতো কথা বলে যাচ্ছি”।
এই প্রসঙ্গে বিরক্তি প্রকাশ করে ঐশ্বর্য আরো বলেন, “আরও পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো আমি মেয়ের হাত ধরে গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছি। চারপাশে দেখি ছবিশিকারিদের নাটক চলছে। আমি কিন্তু তখনও মেয়ের সঙ্গে কথোপকথন জারি রেখেছি”।