বাবা চলে যাওয়ার পর অনেক রাত পর্যন্ত….! পুরোনো স্মৃতি মনে করে স্মৃতির অতলে ডুবলেন স্বস্তিকা

Published on:

শুধু খারাপটা কেন মনে রাখব? প্রাক্তনকে নিয়ে মুখ খুললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

বয়স ৪০ পেরলেও এখনো ভক্তদের সেনসেশন তিনি। তার স্টাইল,পোশাক, মেকআপ, ব্যক্তিত্ব সবকিছুই একেবারে ব্যতিক্রমী সব সময়। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় শুধুমাত্র অভিনয় দক্ষতার জন্য নয় বরং নিজের স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্যও একই রকম ভাবে জনপ্রিয়। কোন কিছুই রাগ ঢাক না রেখে একেবারে মনের কথা অপপটে বলে ফেলেন তিনি। এবার নিজের বাবাকে নিয়ে আবেগপূর্ন পোস্ট করলেন অভিনেত্রী।

উজাড় করে দিলেন সব আবেগ। যাবতীয় লুকিয়ে থাকা মনের কথা ব্যক্ত করলেন নিজের লেখায়। ইন্সটাগ্রামে নিজের ছবি দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বাবা একটু বেশি মনোযোগ দিয়ে কথা বললে চোখটা কেমন অন্য রকম হয়ে যেত। বা অন্যমনস্ক হয়ে রইলে চোখটা সেই অন্য রকম। আনমনে কথা বললেও দেখতাম চোখের মনি টা কেমন যেন ফট করে আলাদা হয়ে যেত। হটাৎ ডাকলে যদি তাকায়, সেই চোখ টা আবার আলাদা। একটু বড় হতে বুঝলাম একে বলে, ‘লক্ষ্মী ট্যারা’। বাবা কে কী মিষ্টি লাগত। ‘ওই রকম কর না চোখটা’, এটা বললেই বাবা বলত, আরে ওরম ইচ্ছে করলেই হয়না, করা যায় না”।

   
 ⁠

অভিনেত্রীর কথায়, “বাবা চলে যাওয়ার পর, অনেক রাত পর্যন্ত বোনের সঙ্গে গল্প করলে বোন মাঝে মাঝে বলত, এই দিদি চোখ টা ঠিক কর, বাবার মতন হয়ে গেছে। বা বলত, দিদি পুরো বাবার মতন তাকালি। আমি পাতা ফেলে, চোখ পিটপিট করে ঠিক করে নিতাম আর মনে মনে স্বস্তির হাসি হাসতাম”।

  
 ⁠

কিছুদিন আগে বাবার জন্মদিনে অভিনেত্রীর নিঃশব্দ আর্তনাদরা ফুটে উঠেছিল তাঁর লেখায়। তিনি লিখেছিলেন, “আর কটা দিন থেকে গেলে পারতে বাবা – না হয় অনেক রাত অব্দি জমিয়ে আড্ডা মারতে মারতে, লোকজন এর গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দু পেগ হুইস্কি খাওয়ার জন্যই রয়ে যেতে। না হয়, ব্রাজিল – আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখে চিৎকার করার জন্য রয়ে যেতে। না হয়, দরবেশ, ক্ষীরকদম্ব, মনোহরা, সীতাভোগ দের জন‍্য রয়ে যেতে। ভাত রুটির শেষ পাতে রোজ একটু মিষ্টি খাওয়ার পাট ও চুকে গেছে। বাড়িতে আর মিষ্টি কেনা হয় না। তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা। তুমি তো ঈশ্বরের কাছে আছো, তুমি ওনাকে বোলো, এই জন্মে হোক বা পরের জন্মে, বা দু জন্মের সন্ধিক্ষণে আমাদের দেখা টা যেন হয়। কত কথা জমে আছে বাবা। এক পাহাড়।”