সপ্তাখানেক কেটে গেলেও আতঙ্কের রেশ এখনও রয়েই গিয়েছে। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ সইফ। আজ ছাড়া হয়েছে তাঁকে হাসপাতাল থেকে। এরমধ্যেই আতঙ্কের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন করিনা কাপুর। ছোট ছেলের আয়া মাসি এলিয়ামা ফিলিপ শোনালেন সেই ভয়াবহ রাতের কথা।
তিনি বলেন, সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই একটি আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাথরুমের দরজার কাছে মাথায় টুপি পরা এক পুরুষ অবয়বের ছায়া দেখেন। তখনই সন্দেহ হয় তার। তিনি ছুটে যান জেহ-র ঘরে। তাঁকে আসতে দেখেই আততায়ীরা তাঁকে আওয়াজ করতে না করেন।
ফিলিপ বলেন, “আমি যখন জেহ বাবাকে কোলে তুলে নিতে যাই, তখন ওই লোকটা আমার দিকে ছুটে আসে। ওর এক হাতে একটা লাঠি ছিল, অন্য হাতে ধারালো এক হেক্সা ব্লেড। লোকটা আমায় ওই ব্লেড দিয়ে কোপাতে চেয়েছিল। আঘাত এড়ানোর জন্য আমি যখন হাত তুলি, তখন আমার হাত কেটে যায়”।
এরপরেই বেরিয়ে আসেন করিনা ও সইফ। এর পরই ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে ওই আততায়ী লাঠি আর ব্লেড নিয়ে সইফকে আক্রমণ করে। ফিলিপ জানান,”আমরা সবাই উপরের ঘরে ছুটে যাই। আমাদের গলা শুনে অন্য ঘুমন্ত স্টাফরাও এসে হাজির হয়। আমরা যখন ওই ঘরে যাই, গিয়ে দেখি দরজা খোলা। সারা বাড়ি লোকটাকে খুঁজি আমরা, কিন্তু ওকে কোথাও পাওয়া যায়নি। স্যার ঘাড়ের পিছন দিকে আঘাত পেয়েছেন, ডান কাঁধের কাছে, পিছনে বাঁ দিকে, বাঁ হাতের কবজি আর কনুইয়েও”।
বুধবার মাঝরাত থেকে চলছিল যুদ্ধ। অবশেষে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার ছুটি পেলেন সইফ আলি খান। আপাতত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে বলি-অভিনেতাকে।আপাতত বাড়িতেও কড়া নজরদারিতে থাকতে হবে তাঁকে। মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান শর্মিলা ঠাকুর। তার পর আসেন করিনা কাপুর খান। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে বের করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।