আজ তাকে গোটা বিশ্ব চেনে। অমিতাভ বচ্চন শুধু নামটাই যথেষ্ট এখন। কিন্তু একসময় এই বিখ্যাত অভিনেতা কেউ পড়তে হয়েছিল দারুন অর্থাভাবে। যার কারণে তাকে বাড়ি বন্ধক পর্যন্ত রাখতে হয়েছিল। বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন পাওনাদাররা। আর এতেই চরম লজ্জায় পড়তেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাশ করার পর রেডিও-তে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি পাননি। একের পর এক চাকরির ইন্টারভিউতে তাঁকে মুখের উপর ‘না’ বলে দেওয়া হয়। ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা তাঁর পিছু ছাড়েনি। পর পর ১২টা ফ্লপ ছবির পর বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি হিট হয়।
১৯৬৯ সালে ‘সাত হিন্দুস্তানি’ প্রথম ছবি অমিতাভ বচ্চনের। কিন্তু একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ছবি। ২০০০ সালে ‘মহব্বতেঁ’ ছবির মাধ্যমে নতুন ইনিংস শুরু করেন অমিতাভ। সে বছর তিনি সঞ্চালনাও শুরু করেন জনপ্রিয় টেলিভিশন গেম শো ‘কওন বনেগা ক্রোড়পতি’র।
৯০ এর দশকে অভিনয় জগত থেকে ডাক আসতো না তেমনি। অভিনেতা হিরোর তকমা হারিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে পেয়ে বসেছিল আর্থিক সংকট।বাড়ি বিক্রির মত সময় চলে এসেছিল।
এরপর পেট চালানোর জন্য কোন বানেগা ক্রোড়পতি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অর্থের অভাবে বিগ বির বাড়ি বন্দক রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত। খারাপ দিন কাটিয়ে এখন বিশ্ব দরবারে সমাহিত তিনি
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “হ্যাঁ! আসলেই আমার বাড়ি দখল হয়ে যেত। সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হত। যখন আপনি কোনও গ্রান্ট স্বাক্ষর করেন তখন সেই টাকা পরিশোধ করতে আপনি দায়বদ্ধ। প্রায় ৯০ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে ৫৫টি আইনি মামলা হয়েছিল। পাওনাদাররা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত। সে যে কি এক পরিস্থিতি, বিরক্ত লাগতো। অপমানে লাগত।”