দেশ-বিদেশের অসংখ্য বৈজ্ঞানিকদের নিরন্তর চেষ্টাতে আগের থেকে অবস্থার অনেকটা উন্নতি হলেও, ক্যান্সার যেন এক আতঙ্কের নাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মারণ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাঁচেন না। কিন্তু বলিউডে বেশ কিছু তারকা আছেন যাঁরা এই মারণ রোগকে হারিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
প্রথমেই আসে মনীষা কৈরালার নাম। ২০১২ সালে ওভারিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাঁর। কেমো নিতে হয়।নিউইয়র্কে অস্ত্রোপচারও হয়। ২০১৫ সালে ক্যানসার মুক্ত হন মনীষা কৈরালা।মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন মনীষা। সম্প্রতি হীরামান্ডিতে তাঁর অভিনয় এক কথায় অসাধারণ।
বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী কিরন খেরও আক্রান্ত হয়েছিলেন এই মারণ রোগে। ৬৮ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিরণ খের। ২০২১ সালে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। তবে এখন তিনি সুস্থ। শুরু করেছেন কাজও।
২০০৪, কেরিয়ারের মধ্যগগনে পরিচালক অনুরাগ বসু। তাঁর স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অনুরাগ জানতে পারেন তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। ডাক্তাররা নাকি জবাব দিয়েও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন আর ২ সপ্তাহ আয়ু তাঁর। তখন গ্যাংস্টারের শ্যুটিং চলছে। ক্যানসারের তোয়াক্কা না করেই শ্যুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভগবানের আশীর্বাদে ক্যানসার জয় করে ফেরেন অনুরাগ।
করোনার প্রকোপের সময় ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। কফি উইথ করণ শোতে এসে এই কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এখন তিনি সুস্থ। সম্প্রতি ‘রকি অর রাণী কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে আলিয়ার ঠাকুমার ভূমিকায় দেখাও গিয়েছে অভিনেত্রীকে। খুব শিগগিরিই বাংলা ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে।
২০১৮ সালে ধরা পড়েছিল অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের ক্যানসার। মেটাস্ট্যাটিক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনালি। দীর্ঘদিন তাঁর চিকিৎসা চলে নিউইয়র্কে। ২০২১ সালে ক্যানসার মুক্ত হন সোনালি। সুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোর কাজ করছেন।