বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সত্যজিৎ রায় নামটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোধ হয় কাউকে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। একবার ফিরে দেখা যাক তার অমর সৃষ্টিগুলিকে।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ধারা বদলে দিয়েছিলেন এই বাঙালি চিত্রনাট্যকার তথা অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার। তিনি ছিলেন একাধারে পরিচালক চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, শিল্পনির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক ডিজাইনার। তার প্রতিটি সৃষ্টি আজও অমর সিনেমার দরবারে। তার প্রতিটি চরিত্র যেন আজও জীবন্ত।
সত্যজিৎ রায়ের প্রত্যেকটি সিনেমাতেই দেখা গিয়েছে তার সৃষ্টি করা নারী চরিত্ররা বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে প্রতিটি মুহূর্তে। তার নারী চরিত্ররা আজও যেমন জীবন্ত রয়েছে সেরকম একইভাবে রয়েছে উজ্জ্বল্যমান। তার সিনেমায় নারী চরিত্রদের ছিল অবাধ স্বাধীনতা। নিজেদের মহিমায় তারা নিজেদেরকে গড়েপিটে নিয়েছিলেন।
এ কিংবদন্তি শিল্পীর প্রত্যেকটি সিনেমায় নারী চরিত্রদের অস্বীকার করা যায় না। তা সে পথের পাঁচালী দুর্গা হোক কিংবা ইন্দিরা ঠাকরুন। অথবা কখনো মাধবী মুখোপাধ্যায় শর্মিলা ঠাকুর অপর্ণা সেন। এদের প্রত্যেকের চরিত্রই এখনো একই রকম উজ্জ্বল দর্শকদের মনে।
প্রসঙ্গত সত্যজিৎ রায়ের প্রত্যেকটা সিনেমার পেছনেই রয়েছে কোন না কোন ইতিহাস। যেমন তার প্রথম ছবি পথের পাঁচালীর পেছনেও রয়েছে এক কাহিনী। পরিচালক ভিত্তরিও ডি সিকা-র দা বাইসাইকেল থিমস দেখেই তিনি পথের পাঁচালী সিনেমা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপরেই বদলে যায় ভারতীয় সিনেমার গোটা প্রেক্ষাপট।