রজনীকান্ত, নামটাই যথেষ্ট। কিন্তু রজনীকান্ত হয়ে ওঠার পথ টা মোটেই সহজ ছিল না। রজনীকান্তের জীবনও অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। নিজের জীবন নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি আলোচনা করেন তিনি। এবারও জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়ের কথাই তুলে ধরলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি আমার জীবনে মদ না থাকতো তাহলে অনেক আমি সমাজের আরও ভাল কাজ করতে পারতাম৷ অ্যালকোহল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল৷ আমি বলছি না যে মদ একেবারেই খাবেন না৷ কিন্তু প্রতিদিন খাওয়া মোটেই উচিত নয়৷ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এটি মনেরও ক্ষতি করে”।
বাস কন্ডাক্টর ছিলেন প্রথম জীবনে অভিনেতা। এরপরেই নাটকীয় ভাবে উত্থান ঘটে তার জীবনে। দক্ষিণের থালাইভা’ গোটা দেশের আইকন তিনি। এ হেন সুপারস্টারেরও যে নেশার বদ অভ্যেস তা বারবার অকপটে স্বীকার করেছেন।
অভিনেতা বলেন, “যখন আমি কন্ডাক্টর ছিলাম তখন প্রতিদিন মদ খেতাম৷ প্রচুর সিগারেট খেতাম৷ আমার দিন শুরু হত আমিষ খাওয়ার দিয়ে৷ সারাদিনে অন্তত দু’বার কোনও না কোনও আমিষ খাবার খেতাম আমি৷ নিরামিশাষীদের দেখে আমার করুনা হত৷ কিন্তু এই তিনটি জিনিস শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর৷” তাঁর মতে, মদ, সিগারেট এবং আমিষ খাবার বেশি খেলে ৬০ বছর বয়সের পরে সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব নয়৷