ফিকে হচ্ছে সম্পর্ক। একের পর এক ঘটনা যেন প্রমাণ করছে বচ্চনের পরিবারের সঙ্গে ঐশ্বর্যর ফাটলের ছবি। নিজের ব্লগেও সেই ইঙ্গিত দিতে দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের কিছু কর্মকাণ্ড যেন বিচ্ছেদের দিকেই খানিকটা ইশারা করল।
অনন্ত আম্বানির বিয়েতে ঐশ্বর্য মেয়ে আরাধ্যাকে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে নিমন্ত্রণ রক্ষায় গিয়েছিল বচ্চন পরিবারের বাকিরাও। কিন্তু ওই টুকুই সার। কথা হয়নি উভয় পক্ষের মধ্যে। এই সৌজন্যতার অভাব চোখ এড়ায়নি কারোর।
এবার অভিষেক সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদের এক পোষ্টে লাইক করেছেন। সেখানে লেখা, “দীর্ঘদিনের বৈবাহিক সম্পর্ক কাটিয়ে একে একে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন যুগলরা। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা, কেন বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?”
পোস্টে আরও লেখা , “বিবাহবিচ্ছেদ কারও জন্যই সহজ নয়। হাসিখুশি জীবনের স্বপ্ন কে না দেখেন? প্রবীণ দম্পতি হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছেন, এমন মন ভাল করা দৃশ্য নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে কে না চান। তাও কখনও কখনও জীবন আমাদের ইচ্ছে অনুযায়ী চলে না। কিন্তু ছোট-বড় সব কিছুর জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করা যুগলেরা কেন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন? কেন সম্পর্কের সুতো ছিড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা, তার পর কী করে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেন তাঁরা”। বিবাহ বিচ্ছেদের এই পোস্টে অভিষেকের ‘লাইক’ করা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে আম্বানিদের বিয়ে থেকে ফিরে এসে অভ্যাসবশত ব্লগে অমিতাভ লিখেছেন, “একটা সুন্দর বিয়েবাড়ি হয়ে এলাম। অনেক পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আবার পুরনো দিন ফিরে এলাম। ফিরে এলাম সেই উষ্ণতা। হয়তো দেখতে তাঁরা অনেকটাই বদলে গিয়েছেন তবে নিজের দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা আজও ফিকে হয়ে যায়নি। আসলে জীবন তো এমনটাই। ভালবাসা ভরপুর”।
এরপরের লেখা পড়েই সকলের মনে হচ্ছে নাম না করে ঐশ্বর্যর দিকেই নিশানা করেছেন তিনি। বিগ বির ব্লগে উঠে এসেছে, “অবাক লাগে ছোট ছোট জিনিসগুলি রয়ে যায়। তবে জীবনের সঙ্গে যে জিনিসগুলোর গভীর সম্পর্ক রয়েছে সেগুলোই আর কারও মনে থাকে না। হয়তো ভুলে যায় না। তবে যদি দরকার লাগে তবে তা বের করা হয়, নয়তো নয়”।
বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সের জিও কনভেনশন সেন্টারে হাজির হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন আর জয়া বচ্চন । তাঁদের সঙ্গেই দেখা গেল শ্বেতা বচ্চন, নব্যা নভেলি ও অভিষেক বচ্চনকে। অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্য মেয়েকে নিয়ে হাজির থাকলেও শ্বশুরবাড়ির কারও সঙ্গেই কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁকে।
তাঁদের দাম্পত্য নিয়ে এযাবৎ যা কিছু শোনা গিয়েছে, তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই জানাননি অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা। জল্পনা মেনেও নেননি, আবার পত্রপাঠ খারিজও করে দেননি। কিন্তু কয়েকদিনের তাঁদের কর্মকাণ্ডে বিচ্ছেদের জল্পনাই যেন আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
