স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে মদের নেশায় বুঁদ! অবশেষে মৃত্যুই পরিণতি এই অভিনেত্রীর

Avatar

Published on:

স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে মদের নেশায় বুঁদ! অবশেষে মৃত্যুই পরিণতি এই অভিনেত্রীর

কঠিন অধ্যবসায় ও অসামান্য অভিনয় দক্ষতা পাঁচের দশকে মিনা কুমারী কে একেবারে জনপ্রিয়তার শীর্ষ তুলে নিয়েছিল।কেরিয়ারে খুব দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। খ্যাতি ও অর্থ এতটাই লাভ করেছিলেন যে তাকে সেই সময়ে সবথেকে ধনী অভিনেত্রী বলা হত। কিন্তু মদ্যপানের বদ অভ্যাস থাকে ঠিক ততটাই নিচে নামিয়ে এনেছিল মুহূর্তেই।

পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকা খুব অল্প বয়সেই থাকে রোজগারের জন্য দায়িত্ব নিতে হয়।বয়স কম থাকায়, শুরুর দিকে তাঁকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়৷সাহেব বিবি অর গুলাম-এ তাঁর অভিনয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছিলেন।

   
 ⁠

১৯৬৩ সালে তিনি ১০ তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে তিনটি সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।বৈজু বাওরার জন্য ১৯৫৪ সালে প্রথম ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পান এবং ১৯৫৫- তে পরিণীতার জন্য পরপর দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন।

  
 ⁠

এরপর পরিচালক তথা প্রযোজক কামাল আমরোহিকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। কিন্তু তার বৈবাহিক জীবন সুখের হয়নি। তার স্বামী তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতেন। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকায় তিনি শেষ পর্যন্ত বোনের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু মানসিক শান্তি না পাওয়ায় মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন মিনা কুমারী। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। অবশেষে অতি অল্পবয়সী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন এককালের স্বনামধন্য এই অভিনেত্রী।