তাদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল নানান মহলে। চর্চা হয়েছিল প্রচুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রেম টেকেনি। বরং স্মৃতি হয়েছে আরো তিক্ত। কথা হচ্ছে সালমান খান এবং ঐশ্বর্য রাই কে নিয়ে। এরপরই জানা যায় সালমান খানের কারসাজিতেই হয়তো ঐশ্বর্য রাই সিনেমা জগত থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। এমনকি ঐশ্বর্য রায়ের উপর সালমান খান শারীরিক অত্যাচার করতেন বলেও স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী।
হাম দিল দে চুকে সানাম ছবির শুটিং ফ্লোর থেকেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সালমান খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। সেই থেকেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল তাদের প্রেম কাহিনী। এই জনপ্রিয় জুটির প্রেম কাহিনী নিয়ে সেই সময় উচ্ছসিত ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সম্পর্ক টেকেনি বেশিদিন। মাত্র দু বছরের মাথাতেই সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে। যার অন্যতম কারণ ছিল বোঝাপড়ার অভাব।
সম্পর্কের ভাঙ্গনের কারণ হিসেবে তারা দুজন একেক সময় একেক রকম কথা বললেও যারা খুব কাছ থেকে তাদের সম্পর্ক দেখেছিলেন তারা অবশ্য জানিয়েছেন বোঝাপড়ার অভাবের কারণেই ভেঙে গিয়েছে এই সম্পর্ক। আর এর পরেই বিষয়টি গড়িয়েছে তিক্ততার দিকে।
জানা যায় একবার নাকি ঐশ্বর্য রায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পাগলের মত চিৎকার করছিলেন সালমান খান। এমনকি অভিনেত্রী কে হুমকিও দেন তিনি। পরে অভিনেত্রীর গায়ে তার বিরুদ্ধে হাত তোলার অভিযোগও ওঠে। প্রথমদিকে বিশ্বসুন্দরী সেই কথা স্বীকার না করলেও পরবর্তীকালে নিজেই স্বীকার করেছিলেন সেই কথা। আর তারই মন্তব্যের পরেই তোলপাড় শুরু হয় বিনোদন জগতে।
যদিও প্রাক্তন প্রেমিকার এই কথা একেবারেই মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেন সালমান খান। তিনি বলেন, “যখন এক জন মহিলা বলছেন আমি করেছি এমন কাজ, আমার কিছু বলার নেই। আমার মনে হয় না, আমি প্রচণ্ড রেগে কাউকে আঘাত করছি আর সেটা কোনও মহিলা মেনে নিচ্ছেন। আমি যদি রেগে কাউকে আঘাত করে থাকি, তা হলে তার রক্ষে থাকবে না”।
এরপর জানা যায়, সেই সময় একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে হচ্ছিল ঐশ্বর্য রাইকে। খোঁজ শাহরুখ খানকেও এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। তখন চলতে চলতে সিনেমায় প্রথম কাস্ট করা হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই কে। কিন্তু নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না বচ্চন বধু। যার একমাত্র কারণ ছিলেন সালমান খান।