নিজের ক্ষমতায় আজ বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন ঐশ্বর্য রাই। তাঁর কোনও গড ফাদার ছিল না সেই অর্থে। কিন্তু কখনোই অভিনেত্রী হতে চাননি তিনি। বরং চেয়েছিলেন চিকিৎসক হতে। কিন্তু তাঁর এক শিক্ষিকাই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
ঐশ্বর্য রাইয়ের বাবা কৃষ্ণরাজ রাই ছিলেন সেনাবাহিনীর বায়োলজিস্ট। বদলির চাকরি ছিল তাঁর। তাই বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য ঘুরে বেড়াতে হত তাঁকে। এদিকে ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন ঐশ্বর্য। স্কুলে কোনও দিন প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হননি। নানা স্কুলে পড়েছেন।
মুম্বই অবশেষে স্থায়ী ঠিকানা হয় ঐশ্বর্যদের। সেখানেই আর্য বিদ্যা মন্দির হাই স্কুল থেকে বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ইন্টারমিডিয়েট স্কুলিং করেছিলেন জয় হিন্দি কলেজ থেকে। পরবর্তীতে ভর্তি হয়েছিলেন মাতুঙ্গার ডিজি রুপারেল কলেজে। এই কলেজের এক শিক্ষিকার জন্যই আমূল বদলে যায় ঐশ্বর্যর জীবন।
কলেজের ওই শিক্ষিকার নজরে এসেছিল অভিনেত্রীর রূপ। সেই শিক্ষিকা যুক্ত ছিলেন এক ম্যাগাজিনের সঙ্গে। সেই ম্যাগাজিনের জন্য ঐশ্বর্যকে ফটোশুট করতে বলেছিলেন। সেই থেকে শুরু এরপর তরতরিয়ে সাফল্যের একের পর এক সিঁড়ি চড়েছেন ঐশ্বর্য। পেয়েছেন বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট।
তবে তিনি চেয়েছিলেন মনে প্রাণে চিকিৎসক হতে। এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, “আমরা সেই শিক্ষিকা যদি ওইদিন আমাকে ম্যাগাজ়িনে মডেলিং না করাতেন, ওসব কিছুই হত না আমার জীবনে। আজ আমি কোনও হাসপাতালে রোগীর সেবা করতাম। আমার বিশ্বাস সেটাও একটা দারুণ জীবন হত আমার”।