মেয়ের জন্মের পর আমূল পরিবর্তন! নিজেকেই চিনতে পারছেন না আলিয়া

Published on:

জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত আলিয়া! এই রোগের চিকিৎসা কী?

বলিউড ডিভা আলিয়া ভাট। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি মেয়ে রাহা কেও এখন পুরোদস্তুর সময় দিচ্ছেন। রাহার জন্মের পর কাজ নিয়ে ব্যস্ত হলেও মেয়েকে বড় করে তোলার জন্য নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন অভিনেত্রী। এক দিকে তাঁর মেয়ে রাহা যেমন বড় হচ্ছে, ঠিক তেমন ভাবেই যেন তাঁর মাতৃত্বেরও বয়সও বাড়ছে।

অভিনেত্রী আলিয়ার প্রশংসা আলাদা করে তো বলার নয়। আর সেটা তো ভাল ভাবেই জানেন রণবীর কাপুর। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে আলিয়াকে তিনি বরাবর আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন। তবে সন্তান রাহার জন্মের পর সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন আলিয়া। তবে, তিনি যাতে তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য সবরকম ভাবে পাশে আছেন রণবীর।

   
 ⁠

আলিয়া জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী একটি বিষয়ে রীতিমতো এককাট্টা ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, “মেয়ের জন্মের পরই আমার একটা সিদ্ধান্তে আসি যে, মেয়েকে একা ছাড়ব না কখনও। রাহাকে কখনও আমি দেখব, তো কখনও রণবীর।”

  
 ⁠

তিনি আরো বলেন, দুজনে ঠিক করেছিলেন, যখন যার কাজ থাকবে, তখন অন্যজন কার্যত ছুটি নিয়ে সন্তানের কাছে থাকবে।” আর ঠিক যেমন পরিকল্পনা করেছিলেন সেই মাফিক কাজ করছেন তাঁরা। তাও যেন একটু বদলে যেতে হল আলিয়াকে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, নিজেকেই চিনতে পারছেন না তিনি।

অভিনেত্রী বলেন, কোনও দিন বই পড়ার অভ্যাস ছিল না। এমনকি, ছোটবেলায় পড়াশোনায় প্রতি খুব একটা মনও ছিল না। তিনি শুধুই জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকতেন আর বসে বসে দিবাস্বপ্ন দেখতেন। জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু সন্তান রাহা আসার পরে বই তাঁর জীবনের অন্যতম এক সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

অভিনেত্রী বলেন, রোজই একটি করে বই পড়ে তিনি রাহাকে শোনান। আলিয়ার কথায়, মেয়ে জীবনে আসার পর জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। অভিনেত্রী আরো বলেন, তাঁর মনে হয় না আগের মানুষটা তিনি আর আছেন। আলিয়ার এই জীবনের অর্থ বদলে গিয়েছে। তাঁর কথায়, আসলে অভিনেতারা আত্মকেন্দ্রিক হন। সারাক্ষণ তাঁরা নিজেদের নিয়ে ভাবেষ। কিন্তু রাহা হওয়ার পর আলিয়া যেন আলিয়াকেই ভুলে গেছেন। সারাক্ষণ শুধু মেয়ের কথা মাথায় ঘুরতে থাকে।