বিনোদন

ঐশ্বর্যকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের! যোগ্য জবাব দিয়ে বৌমার পাশে দাঁড়ালেন অমিতাভ

বিটাউনে কান পাতলে শোনা যায়, শ্বশুর বাড়ির লোকের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্ক মসৃণ নয় ঐশ্বর্যর। এমনকি তার ননদ শ্বেতার সঙ্গেও তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। প্যারিসের ফ্যাশন শোতে গিয়ে একে-অপরের সঙ্গে মেলামেশা করেননি তাঁরা। তাঁকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন জয়া-শ্বেতারা। কিন্তু এবার বাড়ির বউকে নিয়ে পাক ক্রিকেটার বিরূপ মন্তব্য করতেই গর্জে উঠলেন শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন।

বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তান সরে যাওয়ার পরেই সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আব্দুল রজ্জাক এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি আমি ভাবি যে ঐশ্বর্যার সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, তার পর সুন্দর সুন্দর সন্তান হবে, সেটা কি কখনও সম্ভব! আগে নিজের মানসিকতা ঠিক করতে হবে। বুঝতে হবে যে আমি কী চাই। না হলে ভাল ক্রিকেটারও তৈরি হবে না আর পাকিস্তানও জিততে পারবে না”। তার এই মন্তব্যের পর সে দেশেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরে ক্ষমা চান রাজ্জাক।

তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, “সে দিন আমরা ক্রিকেট ও কোচিং নিয়ে কথা বলছিলাম। সেই সময় ভুল করে আমি ঐশ্বর্যা রাইয়ের নাম নিয়ে ফেলি। আমার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। পুরোটাই ভুল করে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওঁর (ঐশ্বর্যা) কাছে ক্ষমা চাইছি”।

কিন্তু তার এই ক্ষমা চাওয়ার পোষ্টের পরেই নিজের এক্স হেন্ডেলে একটি পোস্ট করেন অমিতাভ বচ্চন। যদিও সেখানে কারো নাম নেননি তিনি। বিগ বি সেখানে লিখেছেন, “হাতজোড় করা ইমোজি, এর অর্থ ছাপার অক্ষরে লেখার থেকে গুরুত্বপূর্ণ”। এবার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি আদৌ ওই পাক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে ক্ষমা করলেন বচ্চন পরিবার? নাকি তাকে হেয়ালির মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিলেন?

প্রসঙ্গত, নানান কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কখনো পারিবারিক কারণে আবার কখনো পেশাগত কারণে বারবার বিতর্কের শিরোনামে এসেছেন তিনি। তবে এবার তার শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে তার কেমন সম্পর্ক সেই বিষয়টি সামনে এলো। নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ জয়া বচ্চন।

বহু সময় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রায়কে একে অন্যের প্রতি ঘনিষ্ঠ হতে। কখনো মদ্যপ পুত্রবধূকে সামলাতে দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে। আবার কখনো ঐশ্বর্যকে জাপটে ধরে নিয়ে সকলের সামনে দিয়ে ফিরতে দেখা গিয়েছে বিগ বি কে। এরকম নানান ছোট ছোট মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয়েছে ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায়। আর এই সমস্ত ছবি বারবার উসকে দিয়েছে সম্পর্কের সমীকরণের জটিলতাকে।

Back to top button