সম্পর্কের সমীকরন কী একেবারেই অতলে? নাতনির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন না দাদু অমিতাভ

বিটাউনে কান পাতলে শোনা যায়, শ্বশুর বাড়ির লোকের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্ক মসৃণ নয় ঐশ্বর্যর। এমনকি তার ননদ শ্বেতার সঙ্গেও তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। প্যারিসের ফ্যাশন শোতে গিয়ে একে-অপরের সঙ্গে মেলামেশা করেননি তাঁরা। তাঁকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন জয়া-শ্বেতারা। এবার বিশ্বসুন্দরীর জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানায়নি বচ্চন পরিবার। এবার নাতনি আরাধ্যার জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল না দাদুকে।
নিয়মিত ব্লগ লেখা হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট সবেতেই ভীষণ সক্রিয় অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু নাতনির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল না দাদুকে। এরপরেই জল্পনা উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে? যদিও নাতনির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই মধুর। তবে অনলাইন না হলেও অফলাইনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায় নি।
প্রসঙ্গত, পয়লা নভেম্বর ছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্মদিন। সম্প্রতি মেয়ে আরাধ্য এবং মাকে নিয়ে একাই নিজের জন্মদিন পালন করেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। সেখানে স্বামী অভিষেক বচ্চন হোক কিংবা শ্বশুর বাড়ির অন্য কেউ, দেখা মেলেনি কারোরই। এছাড়াও হাইপ্রোফাইল পার্টিগুলোতেও তারকাদম্পতিকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে।
নানান কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কখনো পারিবারিক কারণে আবার কখনো পেশাগত কারণে বারবার বিতর্কের শিরোনামে এসেছেন তিনি। তবে এবার তার শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে তার কেমন সম্পর্ক সেই বিষয়টি সামনে এলো। নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ জয়া বচ্চন।
বহু সময় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রায়কে একে অন্যের প্রতি ঘনিষ্ঠ হতে। কখনো মদ্যপ পুত্রবধূকে সামলাতে দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে। আবার কখনো ঐশ্বর্যকে জাপটে ধরে নিয়ে সকলের সামনে দিয়ে ফিরতে দেখা গিয়েছে বিগ বি কে। এরকম নানান ছোট ছোট মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয়েছে ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায়। আর এই সমস্ত ছবি বারবার উসকে দিয়েছে সম্পর্কের সমীকরণের জটিলতাকে।
অতীতে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যকে নিয়ে বিতর্ক ছড়াতে অমিতাভ বচ্চনই পুত্রবধূর পক্ষে সরব হয়েছিলেন। যদিও এই বিষয়টা তিনি একপ্রকার এড়িয়েই যান। এরপর থেকে ঐশ্বর্য অমিতাভকে এভাবে আর ফ্রেমবন্দি হতে দেখা যায়নি। অমিতাভ বচ্চন ও ঐশ্বর্যের মধ্যে থাকা এই ঘনিষ্ঠতাকেও কটাক্ষ করতে পিছপা হননি কেউ। যদিও অমিতাভ বচ্চন ঐশ্বর্যের পাশ থেকে সরে যাননি।নিয়ে জয়া বচ্চনকেও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়।