একসময় বড় পর্দায় ছুটিয়ে অভিনয় করেছেন চুমকি চৌধুরী। তবে তার বাবার ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। এরপর বেশ কিছু বছর বিরতি নিয়ে ছোট পর্দায় ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু শোনা যায় প্রথম দিকে একেবারেই অভিনয়টা পারতেন না তিনি। এর জন্য সবার সামনে বাবার হাতে চড়ও খেয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, “অভিনয়টা আমি একদমই বুঝতাম না। অভিনয়ে যখন প্রথম এলাম, কান্না তো ছেড়েই দিন, কিছুই জানি না। দ্বিতীয় দিন আমার কান্নার একটি দশ্যে শুট পড়েছিল। সে গ্লিসারিন দিয়েও কিছু হচ্ছিল না। বাবা কোনওদিন আমাদের কোনও ভাই বোনের গায়ে হাত তোলেননি। সেদিন বারবার রি-টেক হচ্ছে, বাবা রেগে গিয়ে সেই প্রথম আমায় চড় মারেন। তারপর কান্না আর বন্ধ হচ্ছিল না, সেদিনের মতো শুটিং প্যাক আপ হয়ে যায়”।
একটা সময় বাংলা সিনেমায় হিরোইন মানেই ছিল চুমকি চৌধুরী। অঞ্জন চৌধুরীর একের পর এক হিট ছবিতে নায়িকা হিসেবে একমাত্র ছিলেন চুমকি চৌধুরী। সারাজীবন বাবার ছবির হিরোইন হতেই দেখা গিয়েছে চুমকিকে। অন্য পরিচালকের অফার যে ছিল না এমনটা নয়। কিন্তু তাও বাবার ছবিতেই একমাত্র অভিনয় করে গেছেন তিনি।
বরাবরই ইন্ডাস্ট্রির ভালো মেয়ে চুমকি চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে নেই কোনও গসিপ। খ্যাতির পিছনে ছোটা নয়, বরং তাঁর ইচ্ছে ছিল, ভাল জীবনযাপন, সংসার, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কোনওদিনই ছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই না চাইতেও পেয়েছেন নানা সাফল্য।