সিরিয়াল হোক বা সিনেমা কিংবা কোনও নন ফিকশন শো সবেতেই দারুন জনপ্রিয় অপরাজিতা আঢ্য। নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অভিনয় দক্ষতার গুণে সহজেই দর্শকদের মন জয় করেছেন অভিনেত্রী। পর্দায় তার উপস্থিতি দারুন উপভোগ করেন দর্শকমহল। জানা যায়, একমাসের আলাপে অতনু হাজরাকে বিয়ে করেন অপরাজিতা। কিন্তু এই অতনুকে বিয়ে করার পরেই নাকি একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
২৬ বছর পার করে ফেলেছেন অপরাজিতা আঢ্য ও অতনু হাজরা। দুই যুগের আগেও ভালোবেসে পথ চলা শুরু করেছিলেন এই দম্পতি। অপরাজিতা আঢ্যর স্বামীও ইন্ডাস্ট্রির মানুষ। কাজ করেন ক্যামেরার পিছনে। স্ত্রীর সাফল্যে বরাবর খুশি তিনি।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পরেই তাঁর কেরিয়ার থেমে গিয়েছিল। একের পর এক সিরিয়াল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, “বিয়ের পর যেটা হয়, এই ইন্ডাস্ট্রিটা আমাকে পুরোপুরি অফ করে দেয়, আমি একজন টেকনিশিয়ানকে বিয়ে করেছি বলে। আমি যে ক’টি রানিং সিরিয়ালে ছিলাম সেখান থেকে আমায় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এবং আমি বাড়িতে বসে যাই পুরোপুরি”।
অভিনেত্রী বলেন, “আমার হাতে কাজ ছিল না, কিন্তু আমার কোনও কষ্ট ছিল না। আমার বর, শ্বশুর-শাশুড়িমা আমাকে তালা দিয়ে চলে যেতেন। আমি খেতাম-দেতাম, ঘুমোতাম, পুতুল বানাতাম, হাতের কাজ করতাম। আমার এইরকম একটা জীবন ছিল”।
অপরাজিতা জানান, “অতনুর বাড়ি দেখে মনে হয়েছিল এটাই আমার জীবনের সেরা ঠিকানা। এই বাড়ি দেখে একমাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এখানেই বিয়ে করব। এমনটা মনে হওয়ার কারণ ছিলেন আমার শাশুড়িমা। জীবনে আমি যা-যা করতে চেয়েছি আর যা-যা হতে পেরেছি, সব আমার শাশুড়িমা এবং এই পরিবারের জন্য”।
অভিনেত্রীর সংযোজন, “আমার মনে হয়েছিল, হাওড়ার বাড়িতে যা পাইনি, তা পেতে পারি আমার বেহালার শ্বশুরবাড়িতে। হলও তাই। বিয়ে করে আমি স্বাধীন হলাম। আমি বাবাকে ছাড়া থাকতে পারতাম না। বাবা ছিলেন আমার মা। বাবার মৃত্যুর পর আমি হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। জীবনশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম”।