দুস্থদের জন্য নিবেদিত প্রাণ! অরিজিৎ সিংয়ের বাবার হোটেলে মেলে স্বল্প মূল্যের এই বিশেষ থালি

Published on:

দুস্থদের জন্য নিবেদিত প্রাণ! অরিজিৎ সিংয়ের বাবার হোটেলে মেলে স্বল্প মূল্যের এই বিশেষ থালি

মহানুভবতা এবং সাদামাটা জীবন যাপন ইউএসপি এই লোকটার। কিভাবে সাধারণ থেকে অতি সাধারণ থাকা যায় সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও তা শিখতে হয় অরিজিৎ সিং এর কাছ থেকে। গানের পাশাপাশি একটি হোটেল রয়েছে অরিজিৎ সিং এর। সেখানে মেলে বাঙালি সাধারণ খাবার। তবে সেই হোটেলের খাবারের দাম জানলে অবাক হতে হয়। একেবারেই সাধ্যমত অতি স্বল্প মূল্যে মেলে সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর খাবার।

বরাবরই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একেবারে ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন অরিজিৎ সিং। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও তার পা সব সময় মাটিতে। গানের পাশাপাশি একটি নিজের রেস্তোরা রয়েছে গায়কের। জিয়াগঞ্জে জনপ্রিয় এই ‘হেঁশেল’ রেস্তরাঁ। মাত্র ৩০ টাকায় এখানে পেট ভর্তি খাবার পাওয়া যায়।

   
 ⁠

ব্যবসায়িক লাভের স্বার্থে নয়, বরং কর্মসংস্থান ও স্বল্পমূল্যে খাবার দেওয়াই লক্ষ্য। এখানকার খাবারের মূল্য একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে রেস্তোরাঁ। গায়কের বাবা সুরিন্দর সিং দেখাশোনা করেন হোটেলের।

  
 ⁠

ঘরোয়া খাবারের পাশাপাশি রয়েছে নান থেকে বিরিয়ানি। এছাড়াও নানান ধরনের মুখরোচক খাবার। মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। মাত্র ৪০ টাকায় ভেজ থালি রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য।

অরিজিতের জন্মদিনেও গায়কের বাবা দরিদ্রদের ভুরিভোজ করান। তাই সকাল থেকেই নিজের হাতেই রান্নাবান্না করছেন। এলাকার কোন দরিদ্র দুস্থ অসহায় ব্যক্তি যাতে অভুক্ত না থাকেন সে ব্যবস্থাই করছেন অরিজিৎ সিং এর বাবা।

ছেলের জন্মদিনে ক্ষুধার্তদের মুখে অন্ন তুলে দেন সুরিন্দর বাবু। প্রায় ৩৫ জন পথশিশু খাবার খায় তাঁদের হোটেলে। শুধু পথশিশু নয়, ওই দিন সুরিন্দরবাবুর রেস্তরাঁর দরজা খোলা ছিল সকলের জন্যই।