আশা ভোঁসলে সঙ্গীত জগতের এক অনন্য সম্পদ। তার অবদান অনস্বীকার্য। স্বয়ং ভগবান বিরাজ করেন তাঁর গলায়। এই বয়সে এসেও একইসঙ্গে একটানা ১৮ টি গান গাওয়ার ক্ষমতা রাখেন এই শিল্পী। নিজেই একবার জানিয়েছিলেন সেই কথা। এমনকি নিজের শেষ ইচ্ছের কথাও জানান তিনি একবার।
প্রথম দিকে খানিকটা টাকার জন্যই তাঁর গানের দুনিয়াতে আসা। মাত্র ১০ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন গান গাওয়া। এরপর ভগবানের আশীর্বাদ ও নিজের দক্ষতায় খ্যাতির শীর্ষে উঠে এসেছেন শিল্পী। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কারও জন্য নয়, নিজের জন্য গান। কারণ, এটাই তাঁর সুখ।
নিজের জীবনের শেষ ইচ্ছে সম্পর্কে আশা জি জানিয়েছিলেন, “আমার একমাত্র ইচ্ছা হল. আমি যেন গান গাইতে গাইতেই মারা যাই। আমার শেখার মতো আর কিছুই বাকি নেই। আমি আমার পুরো জীবন গেয়েছি। আমি মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখা শুরু করি। প্লেব্যাক গান করছি ৮২ বছর হয়ে গেছে। অর এখন ইচ্ছে হল আমি গাইতে গাইতে মরতে চাই।এটাই আমাকে সবচেয়ে সুখী করবে।আমি গান ছাড়া বাঁচব না”।
তাঁর প্রথম সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। তিনি ছিলেন একজন মারাঠি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ। । ‘চলা চলা নভ বালা’ গান গেয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। এরপরেই ব্যক্তিগত জীবনে বড় পদক্ষেপ নেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ির অমতে বিবাহ করেন আশা।
গীতা দত্ত, লতা মঙ্গেশকরের মতো তারকারা ঝলমল করছেন। তাঁরা যে যে কাজ বাতিল করে দিতেন, সেই গানগুলি গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত আশার। ছবির বাজেট কম হলে সেখানে কাজ পেতেন আশা। আবার নায়িকা নয়, খলনায়িকার গলাতেই গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত তাঁর।
১৯৫২ সালে ‘সঙদিল’ ছবিতে গান গেয়ে ফের সবার নজরে আসেন আশা। এরপর তাঁকে ‘পরিণীতা ছবিতে গান গাওয়ারনা সুযোগ দেন বিমল রায়। একবার আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন, এখনও একটানা ১৮টি গান গাওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।