ছয় বছরের বড় তিন সন্তানের জননী আশাকে বিয়ে করেন আর ডি বর্মন! কতটা সুখী ছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন?

Published on:

ছয় বছরের বড় তিন সন্তানের জননী আশাকে বিয়ে করেন আর ডি বর্মন! কতটা সুখী ছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন?

আশা ভোঁসলে সঙ্গীত জগতের এক আদি ও অক্ষয় নাম। তাঁর মত কিংবদন্তি শিল্পী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু এই শিল্পীর জীবনেও আছে এক কালো অধ্যায়। যা অজানা বেশিরভাগ অনুরাগীদেরই।

লতা মঙ্গেশকর কে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করতেন আশা। সর্বক্ষণ তাঁর গানে বুঁদ হয়ে থাকতেন। কিন্তু এই লতা দিদির সঙ্গেই এক বিশেষ কারণে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায় আশার। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। কারণ এই লতার সেক্রেটারির গণপথ রাওকে ভালোবেসে ছিলেন আশা। বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন তারা। তাতেই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল আশার।

   
 ⁠

শোনা যায়, ১৬ বছর বয়সি আশা তখন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি ৩১ বছর বয়সি গণপথরাও ভোঁসলের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই এক পুত্র সন্তান হয় আশা ভোঁসলের। এরপরেই তাকে কাছে টেনে নেয় মঙ্গেশকর পরিবার। কিন্তু সেখানে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় গণপথ। বাপের বাড়ির সঙ্গে আশার সম্পর্ক আবার মসৃণ হয়ে যাক। এর মাঝেও আশা-গণপথের আরও দুই সন্তানের জন্ম হয়। নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত ভোঁসলে পরিবারে।

  
 ⁠

এদিকে আশার কাজের প্রস্তাব কমতে থাকে ধীরে ধীরে। তার উপর টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন স্ত্রী আশাকে। ১৯৬০ সালে আশা এবং তিন সন্তানকে বাড়ি ছাড়া হতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেই একের পর-এর ছবিতে গান গাইতে থাকেন। একের পর-এক হিটস দিতে থাকেন।

তখনই সচিন দেব বর্মনের পুত্র রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গে স্টুডিয়োতে আলাপ আশার। হাঁ করে তাকিয়ে থাকতেন তিনি আশার দিকে। ১৯৭১ সালে প্রথম রিতা পাটেলকে ডিভোর্স দেন আর ডি বর্মন। ৬ বছরের বড় আশা ভোঁসলেকে রাহুল দেব একদিন প্রেমপ্রস্তাব দিয়ে বসেন। প্রথমে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেও ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। আশা-রাহুল বহু গানের জনক-জননী।