বিনোদন

কোনও বৈধতার প্রয়োজন নেই! ৫৭-এ বিয়ে করে সোজাসাপটা জবাব দিলেন আশীষ-রূপালী

দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য সমালোচিত হতে হয়েছে প্রচুর। যদিও সেই সমস্ত কথায় পাত্তা না দিয়েই মন দ্বিতীয় ইনিংস উপভোগ করছেন আশীষ বিদ্যার্থী। বিয়ের পর্ব মিটিয়ে এবার স্ত্রী রুপালিকে নিয়ে দ্বিতীয় বার হানিমুনে গিয়েও দারুন মজা করেছেন তাঁরা। তবে এবার নিন্দুকদের কটাক্ষ নিয়ে কড়া জবাব দিলেন এই দম্পতি।

সমালোচকদের এত নিন্দা কীভাবে তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলে জানতে চাইলে এক সাক্ষাৎকারে রূপালী বলেন, “আমি এটাকে অভিশাপ হিসেবে দেখিনি। কারণ, যাদের আমি চিনিই না, তারা এমন কী বলেছে সেটা নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা করে লাভ নেই।’ তিনি বলেছিলেন, যে তারা এসব মন্তব্যের কোনও জবাবই দেবে না। এটি আমাকে এতটাও প্রভাবিত করেনি। কারণ, আমি মন্তব্যগুলি এতটা পড়িওনি। আমার ঘনিষ্ঠরা আমাকে সমর্থন করছে, আমার অন্য কোনও বৈধতার আর প্রয়োজন নেই।”

অন্যদিকে আশীষ বিদ্যার্থী জানান, “ভালোবাসা এবং স্নেহের সঙ্গে দুটি জিনিস বলছি- আপনার একটি বিন্দুও প্রমাণ করার দরকার নেই। আমরা দু’জনেই কোনও বিষয় প্রমাণ করতে চাইছিলাম না। মন খারাপ নয়, রাগ নয়, তবে এমন কিছু করুন যা আপনাকে খুশি করে।”

প্রসঙ্গত,৫৭ বছর বয়সে এসে ফের একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেতা। প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়স যে কোন রকম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তা আরো একবার প্রমাণ করেছেন অভিনেতা। বিয়ে করে তিনি জানান, “এই বয়সে এসে রূপালীকে বিয়ে করতে পেরে ভীষণ আনন্দিত আমি। দারুণ একটা ফিলিং কাজ করছে মনের মধ্যে”।

অভিনেতা বলেন, “আমার সম্বন্ধে নানা ধরনের অপমানজনক কথা আমি শুনেছি৷ সকলের মন্তব্যের মধ্যে চেনা রীতি হল নিজেদের থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ কাউকে অপমান করা৷ এটায় কিন্তু আমরা নিজেদের দিকেও থ্রেট ছুঁড়ে দিচ্ছি৷ কারণ আমরা সকলেই একদিন বুড়ো হব৷”

অভিনেতা প্রশ্ন তোলেন, “এত বাধা বিপত্তির দেওয়াল আসছে কোথা থেকে?বয়স হয়েছে বলে কি জীবনে অসুখি থাকব? অসুখি অবস্থায় মারা যাব? যদি কেউ কারও সঙ্গ বা সখ্য পেতে চান, সেটা তিনি পাবেন না কেন”?

Back to top button