এই ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি কাশি জ্বর যেন ঘরে ঘরে লেগেই রয়েছে। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে মুহূর্তেই। অ্যান্টিবায়োটিক, জ্বরের ওষুধ কোনোটাতেই তেমন কাজ হচ্ছে না। এদিকে গাদা গাদা ওষুধ খেতেও ভালো লাগছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে ভরসা রাখতে পারেন আয়ুর্বেদের উপর। আয়ুর্বেদিক ওষুধ যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন, তেমন সহজলভ্য।
এই সময় প্রকার ভাইরাস ব্যাকটিরিয়াল অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। বিচলিত না হয়ে বা সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাকৃতিক উপায়ে ঠিক রাখা দরকার। সমস্যার প্রাথমিক অবস্থায় ভেষজ পথ্যে ভরসা রাখতে পারেন অনায়াসেই।
ভেষজ ও রান্নাঘরের মশলা দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব। গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে ভেপার নিলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। দিনে ২/৩ বার গার্লগিল করলে নাক কান গলা প্রদাহ কমে।
জ্বর হলে শিউলিপাতার রস ৫-১০ মিলিলিটার ১ চামচ মধুর সঙ্গে ২-৩ বার দেওয়া যেতে পারে। আয়ুষ ৬৪ বলে একটি ওষুধ যার মধ্যে চিরতা, নাটা করঞ্জ, কটকি ও ছাতিম এর নির্যাস আছে। এটি ৫০০মিলি গ্রাম করে ৩ বার নিতে হবে। এটি সহজলভ্য।
কাশি হলে মুখে একটুকরো লবঙ্গ বা যষ্টিমধু রাখতে পারেন। বাসক পাতার রস ও কণ্টিকরি রস মধু দিয়ে ১০-১৫ মিলিলিটার দিনে ২-৩ বার নিতে পারেন ।
আমলকী, পাতিলেবু, সজনেপাতা, ডাঁটা ও ফুল, পোড়া আমের শরবত বিশেষ ভাবে ইমিউনিটি বাড়িয়ে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তুলসী, দারুচিনি, শুকনো আদা ও গোলমরিচ দিয়ে আয়ুষ ক্বাথ তৈরি করতে পারেন।