লাইফস্টাইল

বজরংবলির নাম জপ করে মিলবে নিশ্চিত বিপদ থেকেও রক্ষা, জানুন জপ করার নিয়ম

সকলেই মনে করেন রামায়ণের রচয়িতা বাল্মীকি, কিন্তু বাল্মিকীর অনেক আগেই রামায়ন রচনা করেছিলেন হনুমান। সেই রামায়ণ এর নাম হনুমাদ রামায়ন। জানা যায় যে লঙ্কার রাজা রাবনকে বধ করার পর যখন রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণ অযোধ্যায় ফিরে আসেন সেই সময় হনুমান চলে যান হিমালয়।

হিমালয়ে থাকা কালীন নিজের নখ দিয়ে রচনা করেছিলেন হনুমাদ রামায়ন। পবনপুত্র হনুমান সম্পর্কে জানা যায় যে, হিন্দুশাস্ত্র মতে রামভক্ত হনুমান হলেন মহাদেবের একাদশতম অবতার। শ্রীবিষ্ণুর অবতার রামচন্দ্রকে সাহায্য করার জন্যই অঞ্জনির গর্ভে তার জন্ম হয়েছিল।

এছাড়া শ্রীরামচন্দ্র ও তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে রক্ষা করতে তিনি এই রূপ ধারণ করেছিলেন এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন রহস্যময় অহিরাবণ তন্ত্রবিদ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে রাম ও লক্ষ্মণকে অচেতন করে ফেলে। বিভীষণ হনুমানকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যদি তিনি পাঁচ দিকে মুখ থাকা একটি পঞ্চমুখী প্রদীপ একসঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারেন, তাহলে অহিরাবণের ক্ষমতা কমানো সম্ভব।

এর ফলস্বরূপ তিনি পঞ্চমুখী অবতার রূপ গ্রহণ করেছিলেন এবং পাঁচ মুখ দিয়ে সেই পঞ্চমুখী প্রদীপ নিভিয়ে রাম এবং লক্ষ্মণ এই উদ্ধার কার্য চালান। এছাড়াও জানা যায় রাম ও লক্ষ্মণকে অহিরাবনের হাত থেকে রক্ষা করতে বজরংবলী প্রবেশ করেন পাতাললোক।

হনুমানের আকৃতির প্রাণীটি তাঁকে পিতা বলে সম্বোধন করেন। এটা শুনে তিনি অসম্ভব রেখে যান, কারণ তিনি ছিলেন ব্রহ্মচারী। সেই সময় মকরধ্বজ তাকে এটা বুঝিয়ে বলেন যে, যখন তিনি লাফ দিয়ে সমুদ্র পেরতে যাচ্ছিলেন তাঁর শরীরের এক ফোঁটা ঘাম একটি মকরের মুখের ভেতর পড়ে। যার ফলে জন্ম হয়েছিল এই মকরধ্বজের।

Back to top button