খাতায়-কলমে এখনও ডিভোর্স না হলেও, আলাদা থাকছেন যিশু-নীলাঞ্জনা। দিচ্ছেন একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট। যে পোস্টগুলো দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না সেগুলো যিশুর উদ্দেশ্যেই লেখা। নীলাঞ্জনার সোশ্যাল মিডিয়ার সক্রিয়তা ক্রমেই তাদের সম্পর্কের তিক্ত দিকটাকে আরও ফুটিয়ে তুলছে। আজ নীলাঞ্জনার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে মুখ খুললেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী জিনিয়া সেন।
জন্মদিন উদযাপন করতে দুই মেয়েকে নিয়ে মালদ্বীপে গিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন নীলাঞ্জনা। এখন দুই মেয়েকে ঘিরেই জীবন তার। বড় মেয়ে সারাই মূলত তার শক্তি এখন। তাঁদেরকে ঘিরেই জীবনের প্রতিটা চ্যালেঞ্জ হাসি মুখে গ্রহণ করছেন তিনি।
এবার বন্ধুর জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন আরও এক বন্ধু। জিনিয়া এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অনেক দিন পরে ওঁর মুখে আবার আগের মতো হাসি। ওঁকে দেখে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। খুব লড়ছে। নানা কথা, সমালোচনা— সব পেরিয়ে দুই মেয়েকে আগলে রাখছে। সব সামলাতে হয়েছে ওঁকে, এখনও হচ্ছে। তারকাদের দাম্পত্য ভাঙলে যা হয়। তাই সকলের কাছে বন্ধুর জন্য প্রথম অনুরোধ, নীলাঞ্জনার জন্মদিনে যিশু সেনগুপ্তের নাম না-ই বা উচ্চারিত হল, আমরা বরং এক লড়াকু নারীকে কুর্নিশ জানাই”।
জিনিয়া আরও বলেন, “এক দিকে যেমন দিলদরিয়া, অন্য দিকে তেমনই শক্ত হাতে সব কিছু সামলানোর দক্ষতা রয়েছে ওঁর। প্রথম আলাপের সময় ও ছোট পর্দা থেকে দূরে, সংসারে নিবেদিতপ্রাণ এক নারী। স্ত্রী হিসাবে, মা হিসাবে, মেয়ে হিসাবে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত”।
নীলাঞ্জনা কতটা সংসারী তা স্পষ্ট ছিল এক পোষ্টেই। নীলাঞ্জনা জানিয়েছিলেন, মুম্বাই থেকে কাজের অফার পেলেও কলকাতা ছেড়ে যেতে নারাজ তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা জানিয়ে নীলাঞ্জনা লেখেন, “আমি চলে গেলে সংসারের সবটা ওলটপালট হবে। মেয়েদেরকে তো আমাকেই দেখতে হবে। মেয়েরাই আগে আমার কাছে। যা করব, ওদের ভালমন্দ বুঝে”।