মেয়ের হার্টে ফুটো! দেবীর এক বছরের জন্মদিনে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বিপাশা

দেখতে দেখতে এক বছরে পা দিল বিপাশা বসু ও করণ সিং গ্রোভারের কন্যা দেবী। গতকাল ছিল তাঁর জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিনে একরত্তির দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের জন্মদিনে অভিনেত্রী লেখেন, “মায়ের গর্ভে ৯ মাসের ম্যাজিক। তারপরই এক বছরে পা দিল আমার ছোট্ট দেবী। এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সময়। আমাদের ছোট্ট ঠাকুর দেবীকে নিয়ে অনেক অ্যাডভেঞ্চার বাকি আছে। একই দিনে দেবীর জন্মদিন এবং দীপাবলি পড়েছে। ও মায়ের মিষ্টি। আমাদের মা লক্ষ্মী”।
গত বছর নভেম্বরেই জন্ম হয়েছে বিপাশা বসু ও করণ সিং গ্রোভারের কন্যা দেবীর। এখন মেয়েকে নিয়ে খুশির মহল তাঁদের পরিবারে। সারাক্ষণই প্রায় তাদের সময় কাটছে এই একরত্তিকে ঘিরে। কিন্তু মেয়ের জন্মের পর সময় টা এত মসৃণ ছিল না। তাঁদের কন্যার হার্টে ফুটো ধরা পড়েছিল। এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন বিপাশা বসু। তবে এবার একরত্তি সেরে উঠতেই বাড়িতে পুজোর আয়োজন করলেন তাঁরা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যখন দেবীর মাত্র তিন দিন বয়স তখন তারা জানতে পারেন তাঁদের মেয়ের হার্টে দুটো ফুটো রয়েছে। এমনকি সেটি অপারেশনই করতে হবে। এই শুনে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
অভিনেত্রী আরো জানান, এরপর তিনমাস বয়সে দেবীর অপারেশন হয়। প্রতি সপ্তাহে স্ক্যান করা হতো। তাঁর কথায়, “এটুকু একটা বাচ্চাকে কীভাবে ওপেন হার্ট করা যায়? আমি কি করে সহ্য করতাম। করণ একদম তৈরি ছিল না। কিন্তু, আমি জানতাম আমার মেয়েটাকে আমায় বাঁচাতে হবে। ওর অপারেশন সঠিক সময় হয়েছে বলেই আজ সব ঠিক আছে”।
২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন জুটি। বিয়ের বছর ছয়েক পরে তাঁদের জীবনে এসেছে ছোট্ট দেবী। অনুগামীরা অধীর আগ্রহে এতদিন অপেক্ষা করছিলেন বলিউডের এই স্টার কিডের। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর জন্ম হয়েছে এই খুদের। তারপর তাঁর হার্টে একটি ফুটো বেরোয়।
মেয়ে সুস্থ হতেই বাড়িতে পুজোর আয়োজন করলেন করণ-বিপাশা। ছবিতে দেবীকে রঙিন ঘাগরা পরিহিত কিছু তাস নিয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে। ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘দেবীর প্রতি ভালোবাসা।’ অপরদিকে বিপাশাকেও শাখা-পলা, সিঁদুর পড়ে একেবারে বাঙালি বউয়ের সাজে দেখা গিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে তাঁকে পুজোর আয়োজন করতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “সিন্নি মাখা সত্যনারায়ণ পুজো”।