রাস্তায় বেরোলেই মনটা কেমন খাই খাই করে। রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলো দেখলেই চোখ যেন সে দিকেই আটকে থাকে। এক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকানেই যে সমস্ত হারি থাকে সেগুলি লাল কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে। তা সে বিরিয়ানির হাঁড়ি হোক কিংবা কুলফির হাঁড়ি, অথবা লস্যি সব হাঁড়িতেই জড়ানো থাকে লাল রংয়ের কাপড়। কিন্তু কেন শুধু লাল কাপড় দিয়েই জড়ানো থাকে তা কি জানেন। এর পিছনে অবশ্যই রয়েছে বিশেষ এক কারণ।
রাস্তায় বেরোলেই যে সমস্ত স্ট্রিটফুডের দিকে আমাদের চোখ যায় তার মধ্যে প্রায় সবকটি জিনিসের হাড়ি ঢাকা থাকে লাল কাপড় দিয়ে। এমনকি নিম্বু পানির যে বড় মাটির কলসি থাকে তাকেও ঢেকে রাখা হয় লাল কাপড় দিয়ে। এরপরে স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কেন শুধুমাত্র লাল রংয়ের কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে এই হাড়ি গুলি? এর বিশেষত্বই বা কি?
আমরা খাবারের লোভে এবং সময়ের অভাবে কখনো ভেবেই দেখি না কেন শুধুমাত্র লাল কাপড় দিয়েই ঢাকা থাকে এই হাড়িগুলো। যদিও এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানী কারণ। প্রত্যেকটি হাঁড়িতে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও। এই লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার পেছনে মূল কারণ হলো, প্রথমত লাল রঙটি খুবই উজ্জ্বল। এবং দূর থেকেই তার চোখে পড়ে। সেই কারণেই ক্রেতারা যাতে দূর থেকেই ওই হাড়ি দেখতে পান সেজন্যই তা মূলত লাল কাপড় দিয়ে ঢাকা হয়।
এছাড়াও বৈজ্ঞানিক মতে, লাল রং সব থেকে বেশি উজ্জ্বল এবং তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি। একইভাবে দেখতে গেলে বিপরীত দিক থেকে এর ফ্রিকুয়েন্সি সবচেয়ে কম। অর্থাৎ যে রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত বেশি সেই রং তত বেশি উজ্জ্বল। তাই দূর থেকে লাল রংকে অনেক স্পষ্টভাবেই দেখা যায়।
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, হুমায়ুনের আমলে খাবার রাখার জন্য ব্যবহৃত ভাষণ গুলিকে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। সেই সময় অবশ্য বিজ্ঞান এত উন্নত ছিল না। কিন্তু এখন মনে করা হয় সে প্রাচীন প্রথাই এই যুগে নতুন ভাবে নতুন রূপে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই বিজ্ঞানের পাশাপাশি প্রাচীন প্রথাকে অনুসরণ করেই ট্রিট ফুডের খাবারের হাড়িগুলিকে ঢেকে রাখা হয় লাল কাপড়ে।