স্থায়ী হয়নি দাম্পত্য! অল্প বয়সেই এই অভিনেত্রীরা পেয়েছেন বৈধব্য জীবন

Published on:

স্থায়ী হয়নি দাম্পত্য! অল্প বয়সেই এই অভিনেত্রীরা পেয়েছেন বৈধব্য জীবন

পেশাদারি জীবনে দারুন সাফল্য পেয়েছেন এই সমস্ত অভিনেত্রীরা। বাইরে থেকে তাদের জীবন দেখে চকচকে হলেও ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে একরাশ দুঃখ। এদের সকলেই ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দাম্পত্য স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই এই অভিনেত্রীরা পেয়েছেন বৈধব্য জীবন। এদের সকলেরই স্বামী বিয়োগ ঘটেছে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই।

এদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন রেখা। তিনি বরাবরই রহস্যময়ী। জানা যায়, দিল্লির শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন তিনি ১৯৯০ সালে। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় স্ত্রীর ওড়না পেচিয়েই আত্মহত্যা করেন মুকেশ আগারওয়াল। এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে জল ঘোলাও হয় বিস্তর। শোনা যায় ১৯৭৩ সালে রেখা নাকি আবারও বিয়ে করেন বিনোদ মেহরাকে। কিন্তু তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।কিন্তু সব থেকে তাৎপর্যের ব্যাপার স্বামীর মৃত্যুর পরেও একমাথা সিঁদুর পড়ে ঘুরে বেড়ান রেখা। এখনো তাকে যে কোন অনুষ্ঠানে দেখা যায় সিঁদুর পরেই আসতে।

   
 ⁠

১৯৭৫ সালে সিদ্ধার্থ বান্দোদকরের সঙ্গে বিয়ে হয় লীনা ছন্দাভারকারের। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। এরপর অভিনেত্রী ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন কিশোর কুমারকে। যদিও বিয়ের সাত বছরের মাথায় মারা যান কিশোর কুমার। সে সময় লীনার বয়স ৩৭ বছর।

  
 ⁠

ভালবেসে আদেশ শ্রীবাস্তবকে বিয়ে করেছিলেন বিজয়েতা পন্ডিত। এরপরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর স্বামী। সেই থেকেই দুই সন্তানকে নিজের হাতে মানুষ করেছেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী ক্যায়কেশান পটেল বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী আরিফ পটেলকে।দুই ছেলে রয়েছে এই দম্পতির। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালে মৃত্যু হয় আরিফের। তখন থেকেই ছেলেদের একাই সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী।

আরো এক অভিনেত্রী রয়েছেন শান্তিপ্রিয়া। ১৯৯৯ সালে অভিনেতা সিদ্ধার্থ রায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অভিনেত্রীর ৩৫ বছর বয়সেই প্রয়াত হন তাঁর স্বামী।