ভাত নাকি রুটি? দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক কোন খাবার?

Published on:

ভাত নাকি রুটি? দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক কোন খাবার?

খুব সহজপাচ্য না হলেও রুটি আমরা সকলেই কমবেশি খাই। অনেকেই মনে করেন রুটি খেলে হয়তো রোগা হওয়া যায়। তবে রুটি খেলে শরীর ঠিক থাকলেও সব আটার রুটি কিন্তু সুফল দেয় না। তাই কোন রুটি কিভাবে খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, গমের আটার তৈরি ১টি রুটিতে (২০ গ্রাম) ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬৬.৪ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ২.৬২ গ্রাম ফাইবার থাকে। তাই ওজন কমাতে হলে গমের আটার রুটি খাওয়া ভালো।

   
 ⁠

শরীর গঠনে যে সকল ভিটামিন ও খনিজের দরকার হয়, তা সবই থাকে রুটিতে। তাই রাতে রুটি খেলে আমাদের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়।রুটিতে যেহেতু ফ্যাট থাকে না, তাই রুটি খেলে ফ্যাট অর্থাৎ চর্বির হওয়ার সম্ভাবনা কমে ও চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।

  
 ⁠

রুটিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামক উপাদান কম থেকে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এছাড়াও রুটিতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম, তাই নিয়মিত রুটি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয় না এবং শরীর ফিট থাকে।

তবে বিভিন্ন শষ্যের থেকে তৈরি রুটি খেলেও পুষ্টি পাওয়া যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা জোয়ারের রুটি খেতে পারেন। এই রুটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জোয়ারে উপস্থিত ফসফরাস, ক্যালসিয়াম মহিলাদের মেনোপজের পর অস্টিওস্পোরোসিস রোধ করে।

এছাড়াও বাজরার রুটি খাওয়া যেতে পারে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হজমের সমস্যা দূর করে, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের কিডনিতে স্টোন হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁরা এই শস্য এড়িয়ে চলুন। কারণ এই শস্য ঠিক মত রান্না করা না হলে এর মধ্যে উপস্থিত অক্সালেট কিডনিতে অক্সালেট স্টোনের সৃষ্টি করে।