ট্র্যাজেডি কিং দিলীপ কুমারের আজ ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। ২০২১ সালের ৭ জুলাই মারা যান এই কিংবদন্তি নায়ক। অপরদিকে স্বামীর জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সায়রা বানো। তাই স্বামী বিয়োগের পর অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
মাত্র ১২ বছর বয়সেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েছিলেন সায়রা বানো। তখনই ঠিক করেছিলেন তিনি বড় হয়ে দিলীপ কুমারকেই বিয়ে করবেন। এই প্রতিটা মুহূর্ত ভাগ করে মনজয় করে নিয়েছেন সকলের অভিনেত্রী। জানা যায়,দিলীপ কুমার যখন শ্যুটিংয়ে যেতেন, তখন হোটেলে না থেকে গেস্ট হাউজে থাকতেন। এমনকি সেটে ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে একই প্লেট থেকে খাবারও খেতেন তিনি।
দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর এক চিঠিতে অভিনেত্রী লেখেন, “প্রিয় ইউসুফ জান, যাই হয়ে যাক না কেন আমরা এখনও একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলব। আমরা চিন্তার মাধ্যমে একসঙ্গে থাকব এবং যতদিন সময় থাকবে ততদিন একসঙ্গে থাকব”।
বিষন্নতায় ভরা এই চিঠির প্রতি ছত্রে উঠে এসেছে তাঁর স্বামীর প্রতি ভালোবাসা। তিনি লিখেছেন, “আমার দিনগুলো যেন থেমে গিয়েছে। প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের ঐক্যের সাক্ষী। আমি প্রায়ই আমরা একসঙ্গে ভাগ করা ভালোবাসা এবং জীবন সম্পর্কে চিন্তা করি। কারণ, এটি এখনও আমাদের সম্পূর্ণ করে তোলে। আমি ‘ঈশ্বরে’র কাছে কৃতজ্ঞ যে আমি তোমাকে এই জীবনে পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছি এবং তিনি আমার প্রতি দয়া করেছেন। ঈশ্বরকে বলি আমি যেন চিরকাল শুধু তোমারই থাকতে পারি। তোমার প্রিয় সায়রা বানু খান”।
শুধু স্বামী নয় বরং দিলীপ কুমার ছিলেন সায়রা বানোর কাছে পথপ্রদর্শক। তিনি নিজেকে শুধুমাত্র তাঁর মাধ্যমেই সম্পূর্ণ বলে মনে করেছিলেন। তাঁর ভালোবাসা এতটাই গভীর যে অভিনেতার মৃত্যুর পরেও তিনি স্বামীর উপস্থিতি অনুভব করেন।