কথাতেই আছে কুকুরের লেজ বাঁকা। আর দেখাও যায় তাই। বেশিরভাগ কুকুরের লেজই কুণ্ডলিকৃত হয়। কিন্তু এটা কেন হয় জানেন? এটা কিন্তু নেহাতই কথার কথা নয়। এর পেছনে রয়েছে এক নির্দিষ্ট কারণ।
হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের ফলেই কুকুরের লেজ বাঁকা বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। তাঁদের মতে, কুকুরের পূর্বপুরুষদের একাধিক প্রজাতিই তুষার মেরুপ্রদেশ অঞ্চলে বসবাস করত৷ সেই কারণে, ঠান্ডা যাতে কম লাগে তাই লেজ গুটিয়ে রাখত।
বিবর্তনবাদের গবেষকেরা জানাচ্ছেন, প্রাগৈতিহাসিক যুগে অনেক সময় বিশ্রাম নেওয়ার সময় ওরা নাকের উপর লেজ রেখে দিত, যাতে শরীরে উষ্ণতা অনুভূত হয়। লেজ ঘুরিয়ে শোওয়ার এই অভ্যাসই ধীরে ধীরে স্থায়ী রূপ নেয়।
বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী কুকুরের লেজের হাড় তার মেরুদণ্ডে পেরেকের মতো আটকে থাকে বলে মনে করা হয়। এই কারণে কুকুরকে হেমি-মেরুদণ্ডী প্রাণি বলা হয়।একটি কুকুরের লেজ তার মেরুদণ্ডের একটি সম্প্রসারণ। আঁকাবাঁকা হওয়ার মানে এই নয় যে কুকুরদের মেরুদণ্ডও আঁকাবাঁকা। মেরুদণ্ডী প্রাণী হওয়ায় তাদের লেজ তাদের মেরুদণ্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত।
বেশির ভাগ কুকুরের লেজ বাঁকা হলেও পৃথিবীতে এমনও অনেক কুকুর রয়েছে, যাদের লেজ গোল নয়৷ এমনকি, বহু কুকুর আছে যাঁদের লেজই নেই। ফ্রেঞ্চ বুলডগ, বস্টন টেরিয়ার, ওয়েলশ কর্গির মতো কুকুরের লেজ নেই।