সশরীরে নেই, ওই সব কিছু করাচ্ছে আমাকে দিয়ে! বাড়ির পুজোর আয়োজন নিয়ে কী বললেন অভিষেক পত্নী সংযুক্তা?

দেখতে দেখতে প্রায় দেড় বছর হয়ে গেছে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর। একদিন সকালে আচমকাই মৃত্যু সংবাদ আসে অভিনেতার। শোকের ছায়া নেমে আসে টলি জগৎ সহ তাঁর পরিবারে। এবার তার মৃত্যুর পর প্রথম দুর্গাপুজো হতে চলেছে বাড়িতে। গোটা পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা। এই কথা আগেই জানা গিয়েছিল। তবে এবার পুজোর আগেই স্বপ্নে স্ত্রীকে বড় নির্দেশ দিলেন অভিনেতা। তাঁর স্ত্রীকে স্বপ্নে আদেশ দিয়ে তাঁকে দিয়েই পুজোর যাবতীয় জোগাড় করাচ্ছেন অভিনেতা এমনটাই জানাচ্ছেন স্ত্রী সংযুক্তা।
গত বছর পুজো বন্ধ ছিল অভিষেকের বাড়িতে। মেয়ে ডলকে নিয়ে কলকাতার বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার একার কাঁধেই সবটা দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন অভিষেক-পত্নী। এবার বেশ বড় করেই পুজো হচ্ছে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “কোনওবারই আমি নিজে হাতে মায়ের পুজোর আয়োজন করি না। এবারই প্রথম। এর আগে অভিষেকই সব করত। আমি কেবল সেজেগুজে ঘুরে বেড়াতাম। এবার আমি করছি। জানি না পারব কি না। তবে এ কথা সত্যি, ও সশরীরে নেই। কিন্তু ওই সব কিছু করাচ্ছে আমাকে দিয়ে। বারবার অনুভব করাচ্ছে ওর উপস্থিতি। বাড়িতে একটা দৈবিক শক্তির উপস্থিতি টের পাচ্ছি। এটা আমার বাড়িতে যেই আসেন বুঝতে পারেন”।
আরও পড়ুন: হঠাৎই মাথায় পাগড়ি অরিজিতের! নেপথ্যে কারণ জানলে চোখে জল আসবে আপনারও
স্বপ্নে অভিষেকের নির্দেশের প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, “এবার আর পুজো করব কিনা, সেটা নিয়ে ধন্দ ছিল মনে। কিন্তু এবার অভি নিজেই স্বপ্নে এল। আমাকে বলল, ‘করো পুজো, আমি আছি, আমিই করছি, তুমি নিমিত্ত মাত্র।’ এই বলে বলে আমাকে দিয়ে এই পুজো অভিই করাচ্ছে”।
আরও পড়ুন: লাল সাদা শাড়িতে ভরপুর বাঙালিয়ানা! সোহিনীর আদায় ক্লিন বোল্ড ভক্ত মহল
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাড়িতে আগে ঘটপুজো হত। আর পুজোর সময়ে আমরা বেড়াতে যেতাম। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে টানা স্বপ্ন দেখেছি আমি। মা আসছে, মা আসছে, এরকমই স্বপ্ন দেখতাম। অভিকে বারবার বলতে থাকি। তারপর অভি এই পুজো শুরু করে”।
পুজো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত বছর মনটা একেবারে ভালো ছিল না। আসলে তখনও মেনে নিতে পারিনি। পরে বুঝলাম অভি তো আমাদের ছেড়ে কোথাও যায়নি। ও আমাদের সঙ্গেই আছে। ফেসবুকে একটি মেয়েকে দেখেছিলাম সুন্দর-সুন্দর মূর্তির ছবি পোস্ট করতে। জানিয়েছিল ওর বাবা বানান। ওখানেই অর্ডার করেছি। মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছি। নিজের জন্যও শাড়ি কিনেছি। ডলের লেহেঙ্গা পরার শখ হয়েছে। ওকে কয়েকটা লেহেঙ্গা চোলি কিনে দিয়েছি। আমি জানি সব পরিকল্পনাতেই আমার পাশে অভি রয়েছে”।
প্রসঙ্গত, রিয়েলিটি শোর শুটিং চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে মারা যান অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকে নিজের মেয়ে ও সংসারকে একা হাতেই সামলাচ্ছেন সংযুক্তা দেবী। তিনি বারবারই বলে এসেছেন, শক্ত রয়েছেন তিনি। অভিনেতার স্ত্রীর কথায়, অভিষেক চ্যাটার্জী এখনো তাকে সমস্ত রকম বিষয় গাইড করে দেন আর সেই মতোই চলেন তিনি। এখন তাদের লক্ষ্য তাদের মেয়ে ডলকে মানুষের মত মানুষ করে তোলা।