ছোট থেকেই দাপুটে অভিনেত্রী। কিন্তু বিয়ের পর তেমনভাবে আর পর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর। দুই সন্তান স্বামীকে নিয়ে চুটিয়ে সংসার করছিলেন। কিন্তু তারপর যখন আবার পর্দায় ফিরেছেন তখন ফের দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের দাপট। এমনিতেই তারকাদের নিয়ে শোনা যায় নানান জল্পনা। এরমধ্যে মৃত্যুর খবর রটানোও ব্যতিক্রম নয়। এমনই কাণ্ড ঘটেছিল কাজলের সঙ্গেও।
খুব ছোট বয়সেই বলিউডে অপার সাফল্য এসেছে। ১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে কাজল কেরিয়ারের শুরু। শাহরুখের সঙ্গে তাঁর জুটি অনুরাগীদের মনে আজও ঝড় তোলে। এরপর ২০১৫ সালে দিলওয়ালে দিয়ে কাজে ফেরেন কাজল, তাও আবার শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি বেধে। এরপর হেলিকপ্টার এলা, তনহাজি, সলম ভেঙ্কি-র মতো সিনেমা দিয়ে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে আরও একবার প্রমাণ করেছেন।
এক বার কাজলের মায়ের কাছে ভুয়ো ফোনে খবর আসে বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। প্রায় ১০ বছর আগের কথা। খবর রটে যায় বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে কাজলের। দুশ্চিন্তায় ভোগেন তনুজা।
এই প্রসঙ্গে কাজল বলেন, “আমাকে নিয়ে লেখা কোনও খবর দেখি না আমি। কারণ আশেপাশে লোকেরা নিজেরাই পড়ে একে অপরের মধ্যে খবর চালাচালি করেন। সে বার তো মায়ের কাছে ফোন চলে গিয়েছিল, আমি নাকি মরে গিয়েছি। তখন সমাজমাধ্যমও ছিল না। তাই আমি ফোন করা পর্যন্ত মাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল”।
১৯৯৯ সালে অজয় দেবগনের সঙ্গে বিয়ে হয় কাজলের। ধীরে ধীরে দুই সন্তানের জননী হন। ২৫ বছর হয়ে গেল কাজল এবং অজয় দেবগনের সংসার জীবনের বয়স।