ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন? এক কোয়া রসুনেই হবে বাজিমাত

Published on:

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন? এক কোয়া রসুনেই হবে বাজিমাত

বিভিন্ন খাবারে রসুন স্বাদ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদেও এই সবজিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে৷ কাঁচা রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। আবার কিন্তু এই রসুনের ফেলে দেওয়া খোসাও দারুন কাজে লাগতে পারে।

ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম সহ ভিটামিন সি, এ এবং বি থাকে রসুনে। ইউরিক অ্যাসিড বা খারাপ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হলে রসুন খেলে উপকার মিলবে। রসুন ধমনী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। ফলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

   
 ⁠

প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গাটের ফোলাভাব কমায় এবং অসহ্য গাটের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। রসুন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় রসুন।

  
 ⁠

এছাড়াও ছাড়ানো রসুনের খোসা শুকনো করাইতে ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে অলিভ অয়েলে মিশিয়ে রাখুন। এরপর কিছুদিন এই জার সংরক্ষণ করুন। কয়েকদিনেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। চিকিৎসকরা কাটানোর ক্ষেত্রে বারণ করেন কিন্তু রসুনের খোসা গুড়ো করে নুনে মিশিয়ে রেখে দিন। এই রসুন নুন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

ভিনিগারের মধ্যে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজের সঙ্গে রসুনের খোসাও ভিজিয়ে রাখুন। এই ভিনিগার চাইনিজ খাবারের সঙ্গে দারুন লাগবে খেতে। চা ফোটার সময় কয়েকটি রসুনের খোসা ফেলে দিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে সেই চা গরম গরম খেয়ে নিন। এতে সর্দি কাশির সমস্যা দূর হবে।

রসুনের খোসাতেও খোসায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায়। তাই এবার থেকে রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে হেঁশেলের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।