আদা রান্নার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো নয় বরং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতেও আদার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে প্রতিদিন আদা সেবন করলে বহু রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
আমরা সকলেই আজকাল ওজন কমানোর জন্য মরিয়া। এই আদা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে এই গাছড়াটি খিদে দমন করে, লিপিড পরিপাকে হস্তক্ষেপ করে, এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে ওজন কমায়। আদা পরিচিত হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি স্থুলতা এবং পাকস্থলীর গ্যাসও কমায়।
আদা আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় । ধমনীতে এটি একটি আরামদায়ক প্রভাব দেয় বলেও জানা গেছে, যার ফলে রক্তচাপ কমে। জীবাণু-বিরোধী হিসেবে আদা অন্ত্রে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে যার ফলে গ্যাস এবং স্থুলতার মত সমস্যা দূর হয়।
আদা বা আদার চা কাশি এবং ঠাণ্ডা লাগার ক্ষেত্রে অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, আদার সেবন শরীরকে গরম করে তোলে। এর ফলে জ্বর এবং কাশির থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা রক্তে শর্করার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্ককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
মহিলাদের ঋতুকালীন সমস্যাও দূর করে আদা। গবেষণায় প্রমাণিত যে, ঋতুস্রাবের তিন দিন আগে থেকে এবং শুরুর ২দিন পর আদা খেলে মাসিকের সময় হওয়া ব্যথায় উপশম হয়। নিয়মিত আদার ক্যাপসুলের সেবন ঋতুস্রাবের সময় প্রবল রক্তপাত হওয়া কমায়। পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাও বাড়ায় আদা।