ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর সম্পর্ক নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে বিস্তর। প্রথম পক্ষের বউ প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দাম্পত্য চলাকালীনই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। হেমা মালিনীও চাননি কখনোই ধর্মেন্দ্র তার আগের পক্ষে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করুক। কিন্তু বিয়ের পরে কি আদৌ সুখী ছিলেন হেমা? এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ড্রিমগার্ল।
জানা যায়, বিয়ে করার জন্য দুজনেই ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। দুজনেই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। আয়েষা আর দিলওয়ার নাম নিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের ৪০ বছর পার হয়ে গেলেও আজও আলোচনায় রয়েছে তাঁদের প্রেমের কাহিনি।
হেমা মালিনী বলেন, “আমি যা চেয়েছিলাম, জীবনে তার সবকিছু পাইনি। কিন্তু যা পাইনি, তার অভাব যেন আমাকে না ছুঁয়ে যায়…! আমার দুই মেয়ে। জীবনের তিরিশ বছর ওদের সঙ্গেই কাটিয়েছি। ওদের স্কুলে নিয়ে যেতাম, হোমওয়ার্ক দেখতাম, চুল বাঁধতাম, ওদের রাগ-অভিমান সামলাতাম — এসব করতে করতে যেন আবার নিজের শৈশবটা ফিরে পেয়েছিলাম। এখন ওরা বড় হয়ে গিয়েছে, হঠাৎ পিছনে ফিরে তাকালে মনে হয়, ‘ওহ, আমি যেন কত কিছু হারিয়ে ফেলেছি”।
তাঁর কথায়, “আমি বলব না সবকিছু নিখুঁত হয়। জীবনে সবসময় আপনি যা চান, তা পাবেন না। যখন আপনার বয়স কম, তখন আপনি একটি পারফেক্ট জীবনের স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু তেমন কোনও জীবনের হয়তো বাস্তবে অস্তিত্বই নেই”।
শোনা যায়, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আগাগোড়াই যোগাযোগ রেখে গেছেন ধর্মেন্দ্র। এই নিয়ে অভিমান শোনা গিয়েছিল হেমা মালিনির গলায়। তিনি বলেছিলেন, “কেউ এমনটা চাইবে না, তবে এমনটা হয়। আপনাকে এটা মেনে নিতে হতে। নয়তো কেউ চাইবে না যে এভাবে তাঁর জীবনটা কাটুক। প্রতিটা মেয়ে চেয়ে থাকেন একটা সংসার, স্বামী সন্তান। একটা সাধারণ পরিবার। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে বলে”।
ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে হেমা মালিনী বলেন, বিয়ের আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখেছেন তিনি তাঁকে, তবে বিয়ের পর কোনও দিন দেখা হয়নি। তিনি কখনও প্রকাশকে হিংসেও করেননি। আবারও কোনও বিরক্তিও ছিল না