বিরিয়ানি খেতে আমরা কে না ভালোবাসি? বিরিয়ানি দেখলেই যেন বাড়তি খিদে পেয়ে যায়। কিন্তু রোজ রোজ দোকানের বিরিয়ানি কিনে খাওয়া যেমন ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। তাই সহজ কিছু উপায়ে যদি বাড়িতেই বিরিয়ানি বানিয়ে নেওয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
এদিকে চাইলেও বাড়িতে বানানো বিরিয়ানির স্বাদ দোকানের মত হয় না। মনে হয় কিছু যেন একটা কমতি থেকেই দেয়। তবে আজকের বলে দেওয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি বিরিয়ানি বানানো যায় তাহলে বাড়িতে বানানো এই বিরিয়ানির স্বাদ হার মানাবে দোকানের স্বাদকেও। আর ঘরে বানানো বিরিয়ানি হবে দোকানের থেকে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর।
প্রথমেই বিরিয়ানি বানানোর জন্য একটি বড় পাত্র নিতে হবে। ছোট পাত্র নিলে তাতে বিরিয়ানি ঠিকমতো হবে না। আর এমন পাত্র নেবেন যাতে সেই পাত্রের তলাটা একটু মোটা মত হয়। এবার প্রথমেই কিছু গুঁড়ো মসলা বানিয়ে নিতে হবে। এতে বিরিয়ানির স্বাদ দ্বিগুণ হয়।
প্যাকেট মসলার থেকে ঘরে বানানো গুঁড়ো মসলা ব্যবহার করা ভালো। তার জন্য প্রথমে শুকনো খোলায় লবঙ্গ, ছোট এলাচ, শাজিরে, শামরিচ, জায়ফল, জৈয়িত্রী, বড় এলাচ, দারুচিনি হালকা ড্রাই রোস্ট করে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে সেগুলোকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার চর্বিযুক্ত মাংস নিন। তাতে আদা রসুন বাটা যাবতীয় গুঁড়ো মসলা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখুন।
ঘন্টাখানেক ম্যারিনেট করার পর সেই মাংসটিকে ভালো করে কষিয়ে রান্না করুন।বিরিয়ানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল-ঘি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিরিয়ানির ভাত বানানোর ৩০ মিনিট আগে চালটা ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ভাত সেদ্ধ করার সময় জলে নুন ও ভিনিগার মিশিয়ে দিন। বিরিয়ানির ভাত যেন ঝরঝরে হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন।
এরপর হাড়িতে ঘি মাখিয়ে ভাত দিয়ে স্তরে স্তরে মাংস আলু ঝোল তারপর আবার ভাত ঘি মসলা দিয়ে সাজিয়ে দিন। এরপর হাড়ির মুখ বন্ধ করে তাওয়ার উপর বসিয়ে দমে রেখে বিরিয়ানি বানিয়ে নিন। পাত্রটি সরাসরি আঁচে বসাবেন না।